কলকাতা: বর্ষাকাল মানেই রোগ বালাইয়ের মরসুম। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় এই সময়ে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যায়। এই সময় জলবাহিত বিভিন্ন রোগের প্রকোপও বাড়ে। তাই খাওয়া দাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি।
বর্ষায় রোগবালাইয়ের ঝুঁকি বেশি থাকায় ইমিউনিটি বাড়ানো খুব দরকার। এর জন্য নিয়ম করে সবুক শাকসব্জি খেতে হবে। বেশি কিছু নয়, রোজের পাতে এই ৫ খাবার রাখলেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। কমবে সংক্রমণের ঝুঁকি। কী খাবেন বর্ষায়?
বর্ষায় বাজারে প্রচুর সবুজ শাকসবজি পাওয়া যায়। এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় শরীরের। যেমন, ব্রকলি। এই সবজি অবশ্যই পাতে রাখুন। এতে রক্তদুর্বলতা কমে। পাশাপাশি অনাক্রম্যতা বেড়ে যায়। কুমড়োর একাধিক পুষ্টিগুণ রয়েছে। এই সবজিতে ভিটামিনের পরিমাণও অনেক বেশি। তাই বর্ষার মরসুমে অবশ্যই খান।
প্রোটিন শরীরের জন্য সবসময় প্রয়োজনীয় উপাদান। তাই এই সময় পাতে রাখুন বিনসের বিভিন্ন পদ। কারণ, বিনস প্রোটিন ভরপুর। যা ইমিউনিটি বাড়ায়। ক্যাপসিকাম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভরপুর। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে। পাতে রাখুন রসুন। কারণ, ইমিউনিটির ধার বাড়ানোর কাজে রসুন অত্যন্ত কার্যকরী বলে দাবি করেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা। রসুনে রয়েছে অ্যালিসিন নামক সালফার যৌগ। এই উপাদানটি ইমিউনিটি বাড়ানোর কাজে একাই একশো। শুধু তাই নয়, নিয়মিত রসুন খেলে কমবে ব্লাড প্রেশার। স্বাস্থ্যের হাল ফেরাতে রোজ এক কোয়া কাঁচা রসুন চিবিয়ে খেতে পারেন।
এবার আসা যাক ফলের কথায়। ফল খাওয়া স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের মধ্যেই পড়ে। প্রত্যেক ফলেরই কিছু না কিছু গুণ রয়েছে। বর্ষাকালে বেছে নিন এমন ৫ ফল যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করবে।
সাইট্রাস জাতীয় ফল – সাইট্রাস জাতীয় ফল যেমন লেবু, তেঁতুলের মধ্য়ে অ্যাসকরবিক অ্যাসিড বা ভিটামিন সি-র পরিমাণ অনেকটাই বেশি। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
কলা- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ উপকারী কলা। পাশাপাশি কাজের জন্য এনার্জিও জোগাবে এই ফল।
পেয়ারা – বর্ষাকালে মাঝে মধ্যেই পেটের গোলযোগ দেখা দেয়। এর সমাধান আছে পেয়ারায়। ফাইবারে ভরপুর পেয়ারা পেটের গোলযোগ ঠেকাতে সাহায্য করে।
আপেল – আপেলের মধ্যেও একইভাবে রয়েছে ফাইবার ও ভিটামিন সি। একদিকে যেমন এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। অন্যদিকে পেটের হাল ঠিক রাখে।
বেদানা – অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ ফল বেদানা। রক্ত তৈরি করে। পাশাপাশি রোগের সঙ্গে মোকাবিলা করতে শরীরকে শক্তি জোগায়। তাই এই বর্ষায় অবশ্যই পাতে রাখুন।