খাবার দেখলেই অনীহা? খেতে বসে বায়না? খুদের খিদে বাড়াবেন কী কী উপায়ে

খাবার দেখলেই অনীহা? খেতে বসে বায়না? খুদের খিদে বাড়াবেন কী কী উপায়ে

কলকাতা:  খাওয়ার টেবিল তো নয়, যেন যুদ্ধক্ষেত্র৷ সন্তানদের খাওয়াতে বসলেই শুরু হয় করুক্ষেত্র৷ খাওয়ার দেখলেই প্রবল অনীহা৷ কোনও কোনও খুদে তো আবার দেদার চেঁচামেচি-কান্নাকাটিও করতে থাকে৷ কখনও ধৈর্যহারা হয়ে বাবা মায়েরা চিৎকার করেন, বকাঝকা করেন, কখনও আবার তাদের ভুলিয়ে-ভালিয়ে গল্প করে খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রতিদিন একই জিনিস সত্যিই ঝক্কির৷ এক সময় ক্লান্তি বোধ হয়। তবে সন্তানদের উপর চেঁচামেচি না করে কয়েকটা ছোট্ট অভ্যাস পাল্টে দেখতে পারেন।

জলখাবারে গুরুত্ব- 
বিশেষজ্ঞদের কথায়, দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার হল সকালের জলখাবার। কোনও ভাবেই তা বাদ দেওয়া চলবে না৷ প্রতিদিন সকালে নির্দিষ্ট সময় মেনে খাওয়াতেই হবে সন্তানকে। এতে সঠিক সময়ে খিদেটাও তৈরি হবে। আর বাচ্চাদের কাছে জলখাবারকে আকর্ষণীয় করে তুলতে হলে তাতে বৈচিত্র আনতে হবে৷ রোজ রোজ একই ধরনের খাবার নয়৷ বরং একটু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খাবার দিন। প্রতিদিন এক খাবার দেখলেও বাচ্চাদের খাবার প্রতি অনীহা আসতে পারে।

বার বার খেতে দিন-

একবারে অনেকটা খাওয়ানোর চেষ্টা না করে বারে বারে খেতে দিন৷ বড়দের মতো বাচ্চাদের তিন বেলা খাবার বরাদ্দ না করে বারে বারে অল্প অল্প করে খেতে দিলে খিদেও তৈরি হবে, খাওয়া নিয়ে সমস্যাও কম করবে। ২-৩ ঘণ্টা অন্তর কখনও ফল,  স্যুপ,  কিংবা স্যান্ডউইচ, বা আপনার পছন্দ মতো খাওয়ার দিতেই পারেন।

জাঙ্ক ফুডে না

যথা সম্ভব জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলুন৷ অনেক সময় বাবা-মা উভয়ই কর্মরত হওয়ায় তাড়াহুড়োর মধ্যে সন্তানদের ‘ফাস্ট ফুড’ খেতে দেন৷ প্রক্রিয়াজাত খাবারের দিকে শিশুদেরও আকর্ষণ দুর্বার। কেক-পেস্ট্রি-চিপ্‌স চলতেই থাকে। কিন্তু, বাবা-মায়েরা বুঝতেই পারেন না যে এতে শিশুর খিদে মরে যায়। আসল খাবার খাওয়ার সময় আর খেতে ইচ্ছে করে না৷ তাই সর্বদাই ছোটদের স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু খাবার দেওয়ার চেষ্টা করুন। 

দইয়ে সঙ্গে ফল কিংবা আপেল টুকরো করে কেটে পিনাট বাটারের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়াতেই পারেন৷ ডিমসেদ্ধ দিলে তাঁর সঙ্গে একটু সস দিয়ে একটা স্মাইলি বানিয়ে পরিবেশন করুন। তাতে শিশুদের খাবারের প্রতি আকর্ষণ তৈরি হবে৷ 
খেলাধুলা

খেলাধুলা করান- 
সারাক্ষণ ঘরে বসে থাকলে চলবে না৷ শারীরিক পরিশ্রম না করালে খিদে বাড়ে না৷ খেলার মাঠের চেয়ে এখন ফোনেই বেশি সময় কাটে শিশুদের৷ সামনে মাঠ না পেলে অন্তত বিকেল বেলায় বাড়ির ছাদে নিয়ে যান। খেলাধুলো করান। ঘরের মধ্যে ছুটোছুটি করলেও ওদের বকাঝকা করবেন না।
ডাক্তারের পরামর্শ

চিকিৎসকের পরামর্শ নিন-
নিজের মতে যথাসাধ্য চেষ্টার পরেও সন্তানের খাওয়া-দাওয়ার উন্নতি না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। শারীরিক কোনও সমস্যা থাকলেও অনেক সময় খিদে মরে যেতে পারে। পেটের কোনও রকম সমস্যা হচ্ছে কিনা, তা চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে জেনে নিন৷