জেদি বাচ্চাকে সামলাবেন কীভাবে? ৪ টিপস ফল দেবে

কলকাতা: আপনার বাচ্চা কি খুব বেশি জেদ করে? বাইরের লোকের সামনে অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন আপনি এই টিপসগুলো মানলেই বাচ্চাদের শান্ত করতে পারবেন৷  তবে ভুলেও মারধর…

কলকাতা: আপনার বাচ্চা কি খুব বেশি জেদ করে? বাইরের লোকের সামনে অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন আপনি এই টিপসগুলো মানলেই বাচ্চাদের শান্ত করতে পারবেন৷  তবে ভুলেও মারধর করবেন না প্লিজ৷

বাচ্চা জেদ করছে, কান্নাকাটি করছে আর সেসময় আপনি নিজের রাগ ধরে রাখতে না পেরে বসিয়ে দিচ্ছেন কয়েক ঘা৷ জানেন এখানেই হচ্ছে আপনার সবথেকে বড় ভুল৷ আপনার বাচ্চার জেদ কমা তো দূরে থাক বরং আরও কয়েকগুণ বেশি জেদি হয়ে উঠবে আপনার বাচ্চা৷ জেদ করে না এমন বাচ্চা দেখা যায় না। অল্প বিস্তর জেদ কিন্তু সব বাচ্চাদের মধ্যেই থাকে। তবে কোনও কোনও সময় বিশেষ করে পাবলিক প্লেসে বাচ্চারা যদি জেদ ধরতে শুরু করে তখন সামলাতে গিয়ে হিমসিম খেয়ে যান অভিভাবকেরা৷
বিশেষজ্ঞরা কটা টিপস দিচ্ছে আপনাদের এগুলো মন দিয়ে পড়ুন৷ তাহলে উপায় আপনার হাতের সামনে৷

বিশেষজ্ঞদের মতে, তিন থেকে সাত বছরের বাচ্চাদের মধ্যে জেদ বা টেম্পার ট্যানট্রাম সবচেয়ে বেশী দেখা যায়। এই সময়ে যদি সঠিকভাবে শিশুদের চালনা করা না যায় তাহলে আগামী দিনে অনেক সমস্যার সন্মুখীন হতে হবে, বিশেষ করে নেগেটিভ কোয়ালিটি বেড়ে যায় যা সে এবং তার পরিবারের ক্ষেত্রে মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। বাচ্চাকে সামলানোর প্রথম শর্তই হল নিজেকে শান্ত রাখুন৷

জেদ সামলানোর প্রাথমিক উপায় অভিভাবকদের মনকে শান্ত রাখতে হবে। প্রথম থেকেই যদি সন্তানদের জেদে লাগাম দেওয়া যায় তাহলে আপনার শিশুর বহু সমস্যার সমাধান হয় যাবে। কেউ কেউ জেদ সামলাহার জন্য যা চাইছে তা দিয়ে দেন এতে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। বরং আপনি যদি নিজেকে শান্ত রেখে শিশুকে সামলান তাহলে সমস্যা অনেকটাই মিটে যাবে। দ্বিতীয়ত বাচ্চার যখন জেদ করতে শুরু করবে তখনই তার মন অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন।সেই সময় বাচ্চাকে অন্যকিছুদিয়ে ভোলাবার চেষ্টা করুন। বাচ্চার নিজস্ব কিছু চাহিদা থাকতেই পারে তার মানে এই নয় যে যা বলছে তা দিয়ে দিতে হবে। এইভাবে বাচ্চাকে কন্ট্রোল করতে শুরু করলে সেল্ফ কন্ট্রোল বোধ তৈরি হবে। তখন সন্তানের আর কিছু চাহিদা থাকবে না।

এসময় বাচ্চাকে বকাবকি করবেন না। বাচ্চার জেদ বা ট্যানট্রাম সামলানোর জন্য মারধোর বা বকাবকির প্রয়োজন নেই হয় না। বাবা-মার ধৈর্য বা পেশেন্স এবং বাকি সব সদস্যদের প্রতি একই ধরণের পজিটিভ পদ্ধতি মেনে চললে সমস্যায় পড়বেন না। জেদের সুত্রপাত হলে বাচ্চাকে আলাদা করে বসিয়ে রাখুন। তবে খেয়াল রাখবেন জায়গাটি যেন সুরক্ষিত থাকে, এই সময় বাচ্চাদের অভিমান খুব বেশি হয়ে যায়। তাই নিজেকে শান্ত ও গম্ভীর থাকার চেষ্টা করুন। খুব প্রয়োজন ছাড়া কোনও কথা বলবেন না বাচ্চার সঙ্গে মারধোর বা বকাবকি একদমই নয়। বাচ্চা জেদের বশে যা করবেন তাকে কোনওভাবেই পাত্তা দেবেন না। দেখবেন ধীরে ধীরে জেদ কমে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *