কলকাতা: গরমে সুস্থ থাকতে দই খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। সকালের জলখাবারে ওট্সের সঙ্গে হোক কিংবা দুপুরের খাবার খাওয়ার পর, টক দই খেলে ঠান্ডা থাকে পেট। চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ সকলেই প্রতি দিন টক দই খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বর্ষাকাল আসছে। এই সময় সংক্রমণজনিত সমস্যা বাসা বাঁধে শরীরে। দই শরীর রোগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। তবে বর্ষাকাল বলে তো নয়, সারা বছরই ফিট থাকতে এবং রোগবালাইয়ের ঝুঁকি এড়াতে দই খাওয়া প্রয়োজন। অনেকে বাড়িতে টক দই পাতেন, অনেকে আবার প্যাকেটের টক দই ব্যবহার করেন।
সে দই যেখান থেকেই আনুন না কেন, দই রাখার একমাত্র জায়গা হল ফ্রিজ। কিন্তু এই গরমে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে দইয়ে অনেক সময় টক গন্ধ হয়ে যায়। এই ধরনের দই খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে, সেই ভেবে ফেলে দেন অনেকেই। কিন্তু, না। দইয়ে টক গন্ধ মানেই যে নষ্ট, এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। টক দই বাসি হলে তার মধ্যে অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। সেই কারণেই টক গন্ধ বেরোয়। তাই ফেলে না দিয়ে সেই দই অন্য কাজে ব্যবহার করে নিন।
পুরনো দইকে ভেষজ, মশলা এবং লেবুর রস বা ভিনেগারের সাথে মিশ্রিত করে একটি ক্রিমি সালাদ ড্রেসিংয়ে পরিণত করা যেতে পারে। মাংস ম্যারিনেশনের কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে টক দই। জলখাবারে প্যানকেক বানান ? প্যানকেক নরম, তুলতুলে করার জন্য কেকের মিশ্রণে অনেকেই বেকিং সোডা কিংবা বেকিং পাউডার দেন। তবে বাড়িতে যদি সেই সব জিনিস না থাকে, তা হলে টক দই ব্যবহার করতে পারেন। প্যানকেক মুখে দিলেই মিলিয়ে যাবে। বাসি টক দই ফেলে না দিয়ে স্মুদি বা লস্যি তৈরিতে কাজে লাগান। লস্যি বা স্মুদির ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে টক দই।
টক দই এর মধ্যে রয়েছে প্রো-বায়োটিক উপাদান অর্থাৎ বন্ধু ব্যাকটিরিয়া। যেগুলো শরীরের মধ্যে ক্ষতিকারক ব্যাকটিরিয়াকে ধ্বংস করে পরিপাকে সাহায্য করে। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এ ছাড়া প্রোটিন, ফ্যাট, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন এ, বি ৬, বি ১২-সহ নানা পুষ্টিকর উপাদানে ভরপুর টক দই। শরীর সুস্থ রাখতে তাই দই খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই।