কলকাতা: বর্ষাকালে জ্বরজ্বালার অশান্তি বাড়বে বৈ কমবে না কিন্তু এসময় জ্বর হলে কী কী খাবার মুখেও তুলবেন না সুস্থ থাকতে সেটা জানাটা দরকার৷ বিশেষ কিছু খাবার রয়েছে যা খেতে একেবারেই নিষেধ করছেন চিকিত্সকেরা৷ তার নেপথ্যে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কারণও৷ ভালো করে জেনে নিন জ্বর থেকে ওঠার পর কয়েকটা দিন কোন কোন খাবার মুখেও তুলবেন না৷
চিকেন ও ডিমের মশালাদার পদ খাওয়া যাবে না৷ জ্বর এলে নিয়মিত চিকেন ও ডিম খেতে হবে। তাতেই পর্যাপ্ত শক্তি পাবে শরীর। দ্রুত সেরে উঠতে পারবেন। তবে এই সময় আবার চিকেন ও ডিমের পদ রাঁধার সময় তাতে প্রচুর তেল, মশলা, নুন ও চিনি দেবেন না। এই ভুলটা করলে কিন্তু আদতে ভুগবেন। তার বদলে এসব প্রোটিন রিচ খাবার হালকা করে রাঁধুন। আশা করছি, এই নিয়মটা মেনে চললেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।
জ্বর সেরে উঠেই কোল্ড ডিঙ্ক্রস খাবেন না৷ কোল্ড ড্রিংকস হল একটি কার্বোনেটেড ড্রিংক। তাই এই পানীয় শরীরের জন্য একেবারেই উপাদেয় নয়। শুধু তাই নয়, এতে প্রচুর পরিমাণে চিনি এবং প্রিজারভেটিভ মেশানো থাকে। যার ফলে কোল্ড ড্রিংকস খেলে একাধিক সমস্যার ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা থাকে বেশি। তাই জ্বর এলে ভুলেও কোল্ড ড্রিংকস খাবেন না। তার বদলে ডাবের জল এবং ওআরএস-এর উপর রাখতে পারেন ভরসা৷
জ্বরের সময়েও মুখে স্বাদ না থাকার দরুণ বা জাঙ্ক ফুড খাওয়ার ক্রেভিং হলে অনেকেই মুখে তুলে নেন বাঙালীর সাধের বিরিয়ানি। আর এই কারণেই শরীরের বেজে যায় বারোটা। আসলে বিরিয়ানিতে প্রচুর পরিমাণে চিনি, তেল এবং নুন মেশানো থাকে। যার ফলে জ্বরের সময় এই খাবার খেলে পিছু নিতে পেটের সমস্যা। তাই এই সময় বিরিয়ানি এড়িয়ে চলুন। জ্বর চলাকালীন জ্বর সেরে উঠে কয়েকটা দিন অ্যাটলিস্ট পিত্জা খাবেন না৷ কারণ খাবারে রয়েছে নুন ও তেলের ভাণ্ডার। আর এই দুই উপাদান কিন্তু শরীরের ক্ষতি করে। এমনকী ইমিউনিটিকে দুর্বল করে দেওয়ার ক্ষমতাও রাখে। তাই আর সময় নষ্ট না করে পিৎজার থেকে বাড়িয়ে নিন দূরত্ব।
জ্বর এলে কিন্তু ভুলেও এই মাংস খাবেন না। কারণ, এই মাংসতে রয়েছে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের ভাণ্ডার। আর এই উপাদান শরীরের হাল বিগড়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। শুধু তাই নয়, এই মাংস হজম করাও কিন্তু খুব কঠিন কাজ। তাই জ্বরের সময় মটন খেলে বদহজমের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কাই থাকে বেশি। তাই চেষ্টা করুন এর থেকে দূরে থাকার।