জমে উঠেছে পঞ্চায়েত দখলের লড়াই। ভোট প্রচারে নেমেছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোচবিহারের চান্দামারি প্রাণনাথ হাইস্কুল মাঠের জনসভা থেকে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন তৃণমূল নেত্রী। কোচবিহারে তৃণমূল গোষ্ঠী কোন্দল পুরনো সমস্যা। আবার জেলাতে প্রায় রোজই নানা রকম অশান্তির ঘটনা ঘটছে। রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি যেন ভোট আবহে আরও মাথাব্যথা বাড়িয়েছে তৃণমূলের। এমন আবহে সমস্ত বিতর্কে জল ঢালতে নিজে নতজানু হলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ভোট লগ্নে হাত জোর করে মমতার আর্জি, কেউ
মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি নিয়ে একটা সময় বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটে বেরিয়েছে রীতিমত। এসএসসিতে নিয়োগে চূড়ান্ত বেনিয়মের অভিযোগে সংস্থার বর্তমান-প্রাক্তন একাধিক কর্তা গ্রেফতার হয়ে জেলবন্দি জীবন কাটাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, টাকার বিনিময়ে স্কুলে চাকরি ‘বিক্রি’র অভিযোগে মাসের পর মাস ধরে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই আবহে, মমতার গলায় স্পষ্ট বার্তা, চুরি করতে দেব না। ঘটনা চক্রে তৃণমূল সুপ্রিমো যখন দলীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে কড়া দাওয়াই দিচ্ছেন, সেই সময় মঞ্চ আলো করে বসে আছেন পরেশ অধিকারী। শুধু চুরিই নয় সরকারি পরিষেবা পেতে কেউ যাতে টাকা না দেন, গ্রামবাসীদের সেবিষয়েও সতর্ক করেন মমতা।
সাম্প্রতিক অতীতে আবাস যোজনা থেকে শুরু করে একাধিক সরকারি প্রকল্পের পরিসেবা পেতে ‘কাটমানি’ খাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল শাসক দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। সেই অস্বস্তি ঝেরে ফেলতেই ভোটের আগে বড় আশ্বাস শোনা গেল মমতার গলায়। তাঁর কথায়, পঞ্চায়েত এবার থেকে আমরা নিজেরা নিয়ন্ত্রণ করব’। দলের কোন্দল ও চুরির অভিযোগ নিয়ে যা যা অভিযোগ রয়েছে, এদিন তা নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কর্মীদের কেউ ভুল করে থাকলে তাঁকে শাস্তি দেওয়ার অধিকারও দিয়েছেন। মঞ্চ থেকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরোধিতায় সুরও চড়ান তিনি। পাশাপাশি বিএসএফকে দুষতেও ছাড়েননি তিনি।