কলকাতা: আর মাত্র কয়েক সপ্তাহের অপেক্ষা৷ তারপর শুরু হয়ে যাবে বাংলার গণতন্ত্রের উৎসব৷ অনুষ্ঠানিক ভাবে ভোটের উৎসব শুরু হওয়ার আগেই ফের চর্চায় উঠে এসেছে বেকারত্ব৷ সঙ্গে রয়েছে নিয়োগ দুর্নীতির মতো গুরুতর অভিযোগ৷ শিক্ষক থেকে শুরু করে ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার পদের চাকরির ক্ষেত্রেও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফের সরব রয়েছে মান্নান-সুজন৷ নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে যখন সরব বিরোধী শিবির, ঠিকন বাড়তে থাকা ক্ষোভ মেটাতে প্রাণিসম্পদ দফতরের চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ভাতা বেড়ে ৫ হাজার৷
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর মিটিং-মিছিলে গিয়ে নিজেদের দাবি জানিয়ে শিরোনামে উঠে এসেছিলেন প্রাণিসম্পদ দফতরের চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা৷ এবার তাঁদের ক্ষোভের কথা মাথায় রেখে বড় সড় ঘোষণা রাজ্যের৷ গ্রামের বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রাণিসম্পদের উপর কাজ করা চুক্তিভিত্তিক কর্মদের মাসিক ভাতা বৃদ্ধির বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য৷ জানা গিয়েছে, প্রাণিবন্ধু থেকে প্রাণিসেবী কর্মীদের মাসিক ভাতা মোট ৫ হাজার টাকা করা হয়েছে৷ ভোটের মুখে এই সমস্ত কর্মীদের দেড় হাজার মাসিক ভাতা বাড়ানো হয়েছে৷ অর্থ দফতরের অনুমোদন নিয়ে এই বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে বলে খবর৷
বাংলাজুড়ে প্রাণিসম্পদ কর্মীরা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে গবাদি পশুর প্রজনন, হাঁস-মুরগির টিকা প্রভৃতি কাজ খতিয়ে দেখেন৷ রাজ্যজুড়ে প্রায় ১১ হাজার কর্মী গ্রামে গ্রামে গিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন৷ দীর্ঘ দিন ধরে ভাতা বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছেন এই কর্মীরা৷ জানা গিয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসে ভাতা বৃদ্ধির নির্দেশিকা জারি হলেও জানুয়ারি থেকে বেতন বৃদ্ধির নির্দেশ কার্যকর হবে৷ নির্দিষ্ট ভাতার বাইরে এতদিন তাঁরা টিকাকরণ, কৃত্রিম প্রজননের জন্য বাড়তি টাকা পেতেন৷ ওই সুবিধা যাতে ভাতা বাড়ার পর অব্যাহত থাকে, তার জন্য প্রাণিসম্পদ দফতরকে অনুরোধ করেছেন কর্মীরা৷ কেননা, সরকার বিজ্ঞপ্তিতে ওই সমস্ত কাজের বিষয়ে আগের নিময়ে টাকা মিলবে কি না, তা উল্লেখ করা হয়নি৷
অন্যদিকে, নিয়োগের দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফের সরব হয়েছেন মান্নান-সুজনরা৷ বিধানসভা ভোট আগে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে বাম-কংগ্রেস জোট৷ শিক্ষক থেকে শুরু করে ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার পদে চাকরিতেও উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগ৷ সমাজ গঠনের কারিগর হিসেবে নিয়োগের ক্ষেত্রে চরম দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলেছে বাম-কংগ্রেস জোট৷ নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে তোপ দাগেছেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী৷