কলকাতা: অবশেষে বেতন কমিশনের সুপারিশ ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ প্রথম দফায় যে রিপোর্ট এসেছে তা আজ পড়ে শোনান মুখ্যমন্ত্রী৷ জানিয়ে দেন, আগামী বছর পয়লা জানুয়ারি থেকে বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করা যায় কি না, তা ভেবে দেখবেন৷ তবে বর্ধিত হারে বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা হলেও এরিয়ায় নিয়ে রয়ে গিয়েছে ধোঁয়াশা৷ মহার্ঘ ভাতার সুবিধায় বেশ কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে বলে খবর৷
ঠিক কীভাবে কর্মীদের অ্যাকাউন্টে মহার্ঘ ভাতা তুলে দেবে রাজ্য? সংবাদমাধ্যমে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের চেয়ারম্যান অভিরূপ সরকার জানিয়েছেন, পে কমিশনের সঙ্গে এখন মিশে যাবে মহার্ঘ ভাতা৷ এই মুহূর্তে রাজ্যের কর্মীরা ১২৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা পান৷ অভিরূপ বাবু জানিয়েছেন, বেতন কমিশনের সঙ্গে মহার্ঘ ভাতা মিশিয়ে দেওয়া হবে৷ নতুন বেতন কাঠামোর চালু হওয়ার পর পর যদি ফের মহার্ঘ ভাতার ঘোষণা করা হয় তাহলে মূল বেতনের সঙ্গে তা পাওয়া যাবে৷
বেতন কমিশনের হিসাব বলছে, যদি কোনও সরকারি কর্মীর বেতন যদি ১০০ টাকা ধরা হয়, তাহলে তার উপর ১২৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা মিলবে৷ অর্থাৎ দু’টি মিলিয়ে ২২৫ টাকা হবে৷ আর কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ওই ২২৫ টাকার ওপর আরও ১৪.২ শতাংশ হারে বাড়বে মূল বেতন৷ ফলে, মূল বেতন দাঁড়াবে ২৫৭ টাকার কাছাকাছি৷ বেতন মূল বেতন যদি বাড়ে, সেক্ষেত্রে হাউস রেন্ট অ্যালাউন্স অনেকটাই বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকছে৷ যদিও হাউস রেন্ট কত হবে তা মুখ্যমন্ত্রীর নিজের দায়িত্বে রেখেছেন৷ জানিয়েছেন, তিনি তা পরে জানিয়ে দেবেন৷
ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ মান্যতা পেলে রাজ্য সরকারের বছরে ১০ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ হবে বলেও জানা গিয়েছে৷ তবে, স্যাটের নির্দেশ অনুযায়ী ষষ্ঠ বেতন কমিশন চালুর আগে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দিতে হবে৷ কেন্দ্রের হারে দিতে হবে মহার্ঘ ভাতা৷ তবে, বেতন কমিশন কার্যকর করা আগে যদি রাজ্য সরকার মহার্ঘ ভাতা মামলার স্যাটের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ জানায়, তাহলে কী হবে? এই নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা৷