কলকাতা: রিভিশন অ্যান্ড পে অ্যালাওয়েন্স (রোপা) ২০১৯ বিধি প্রকাশিত হয়েছে৷ নতুন বেতন কাঠামো অনুসারে বেতন নির্ধারণের জন্য স্কুলে অপশন ফিলাপ চলছে৷ সারা রাজ্য জুড়ে ১৩ ডিসেম্বর থেকে অপশন ফর্ম ফিলাপের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে৷ চলবে ১২ মার্চ পর্যন্ত৷ কিন্তু, এবার সেই অপশন নেওয়ার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল বৃহত্তর গ্রাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন৷
অল বেঙ্গল টিচার্স অ্যান্ড এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি স্বপন মণ্ডল যখন প্রাথমিক শিক্ষক ও গ্র্যাজুয়েট তথা সিনিয়র শিক্ষকদের এই অপশন ফর্ম ফিলাপ থেকে বিরত থাকার কথা বলছেন, তখন এবিষয়ে দ্বিমত পোষণ করল বৃহত্তর গ্রাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন৷ আইন ব্যবস্থার উপর আস্থা রেখে নির্ভয়ে অপশন দেওয়ার কথা বলছে এই সংগঠন৷
তাদের মতে, টিজিটি ছাড়া যদি অপশন দিলে টিজিটি পাওয়া যাবে না, এমন আশংকা অমূলক৷ কারণ অপশনের সাথে সেই পে ব্যান্ড বা স্কেলের কোন সম্পর্ক নেই যা এখনো ঘোষণা করা হয়নি৷ এখন যে গ্রেড পে তে তাঁরা আছেন তার জন্য নির্ধারিত পে ম্যাট্রিক্স অনুযায়ী যে বেসিক হচ্ছে শিক্ষকরা তা কোন ডেট থেকে নেবেন (১/১/১৬ না ১/৭/১৬) সেটাই অপশন৷ পরবর্তীকালে টিজিটি ঘোষণা হলে তখন এখনকার দেওয়া ডেট থেকে এফেক্ট হলেও ক্ষতি নেই৷
সেক্ষেত্রে যখন সংশোধিত রোপা-২ ( রিভাইজড পে) ঘোষণা হবে তখন সেখানে পে ব্যান্ড ও নোশনাল বেনিফিট উল্লেখ থাকবে এবং একটি পৃথক সার্কুলার বা অর্ডার জারি হবে৷ সেই অনুযায়ী পে ম্যাট্রিক্স আরও কয়েক ধাপ নেমে যাবে এবং শুধু বেসিক বেড়ে যাবে৷ এই ঘোষণা আগে যদি জানুয়ারির বেতন হয়ে গেলে ফেব্রুয়ারিতে এরিয়ারটুকুও অন্তত পাবেন গ্রাজুয়েট শিক্ষকরা৷ বিজিটিএ তরফে জানানো হয়েছে, এবিষয়ে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হযেছে৷ মূল রোপায় তিন মাস সময় দেওয়া সত্ত্বেও কেন জেলা পরিদর্শকরা মাত্র ১৫-১৬ দিনের মধ্যে অপশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চাইছেন৷ এর ফলে আইন অমান্য করা হচ্ছে বলেও মত পোষণ করে বিজিটিএ৷