কলকাতা: প্রাথমিক টেটে সার্টিফিকেট পাননি অনেকেই৷ বোর্ড বলছে প্রশিক্ষণহীনদের সার্টিফিকিটে দেওয়া সম্ভব নয়৷ তাহলে কি তাঁদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে? এই বিষয়ে বোর্ডের অবস্থান কি? জানতে চাইল কলকাতা হাই কোর্ট৷
আরও পড়ুন- স্কুল খোলার ৫ দিনের মাথায় বদলে গেল নিয়ম, নয়া রুটিন প্রকাশ পর্ষদের
২০১৪ সালে প্রাথমিক টেট পরীক্ষা পাশ করার পরেও সার্টিফিকেট পাননি প্রায় ৩০ হাজার পরীক্ষার্থী। এঁদের মধ্যে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং প্রশিক্ষণহীন পরীক্ষার্থী উভয়ই আছেন। এদিন বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি অজয় মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী লক্ষ্মী গুপ্ত বলেন, বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা কোনও প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীদের সার্টিফিকেট দেবে না। মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্যের দাবি সার্টিফিকেট না পাওয়ায় কে কত নম্বর পেয়েছেন তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না। এর পরেই ডিভিশন বেঞ্চ বোর্ডের কাছে জানতে চায়, যাঁরা সার্টিফিকেট পাবেন না তাঁদের কি টাকা ফেরত দেওয়া যায়? আগামী শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
প্রসঙ্গত, করোনাকালে বড় ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। ৭ বছর আর নয়, টিচার্স এলিজিবিলি টেস্ট বা টেট পরীক্ষার সার্টিফিকেটের বৈধতার মেয়াদ আজীবন। টুইট করে নয়া সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিওয়াল৷ প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগের জন্য সব রাজ্যকেই টেট পরীক্ষা নিতে হয়। ২০১১ সালে এ রাজ্যে নির্দেশিকা জারি করেছিল ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার্স এডুকেশন। সেই নির্দেশিকার অনুযায়ী, শিক্ষক পদে চাকরি পাওয়ার জন্য প্রথমে টেট পরীক্ষায় বসতে হয় চাকরি প্রার্থীদের।