শিক্ষকদের দিয়ে কেন করানো হবে ভোটার তালিকা তৈরির কাজ? ফের জারি বিদ্রোহ

কলকাতা: আছে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ৷ অনিচ্ছুক শিক্ষকদের দিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাজ করানো যাবে না! অভিযোগ, তবুও সেই শিক্ষকদের দিয়ে ভোটের তালিকায় নাম তোলা থেকে শুরু করে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ করানো হচ্ছে৷ এক প্রকার বাধ্য করানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষকদের একাংশ৷ আর এরই প্রতিবাদে এবার চিফ ইলেকশন কমিশনকে চিঠি পাঠালেন প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশ৷ অভিযোগ,

শিক্ষকদের দিয়ে কেন করানো হবে ভোটার তালিকা তৈরির কাজ? ফের জারি বিদ্রোহ

কলকাতা: আছে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ৷ অনিচ্ছুক শিক্ষকদের দিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাজ করানো যাবে না! অভিযোগ, তবুও সেই শিক্ষকদের দিয়ে ভোটের তালিকায় নাম তোলা থেকে শুরু করে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ করানো হচ্ছে৷ এক প্রকার বাধ্য করানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষকদের একাংশ৷ আর এরই প্রতিবাদে এবার চিফ ইলেকশন কমিশনকে চিঠি পাঠালেন প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশ৷

অভিযোগ, ভোটার তালিকায় নাম তোলা বা সংশোধন করার জন্য প্রাথমিক শিক্ষকদের কাজে লাগানো হচ্ছে৷ ছুটি বাতিল করে টানা এক মাস কাজ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে মাত্র ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা৷ ১০টা থেকে ৫টা পর্যন্ত মাসভর খাটিয়ে নেওয়ার পর মাস শেষে দেওয়া হচ্ছে ৭০০-৮০০ টাকার সান্মানিক ভাতা৷ আর এই নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন শিক্ষকদের একাংশ৷

শিক্ষকতা বাইরে শিক্ষকদের দিয়ে অন্য কোন কাজ করানো যাবে না বলেও কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ এক্ষেত্রে যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষকদের একাংশ৷ আর এরই প্রতিবাদে এবার নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠিয়ে বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন কল্যাণী ২ সার্কেলের প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশ৷ চিঠিতে নির্বাচন কমিশনের কাজ কয়কট করারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে বলে খবর৷

শিক্ষকদের দিয়ে কেন করানো হবে ভোটার তালিকা তৈরির কাজ? ফের জারি বিদ্রোহশিক্ষকদের দিয়ে ডিও-বিএলও কাজ করানোর তীব্র সমালোচনা করেছেন শিক্ষক নেতা তন্ময় ঘোষ৷ তিনি জানিয়েছেন, ‘‘শিক্ষকদের কোনও ভাবেই শিক্ষা বহির্ভূত কাজে নিয়োজিত করা যায় না৷ তবুও বিভিন্ন দপ্তরের কাজ শিক্ষকদের দিয়ে করিয়ে নেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়৷ এমনকি শিক্ষকরা এইসব কাজ করতে অনিচ্ছুক জানলে আধিকারিকরা বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে বা ভয় দেখিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন৷ নানা ভাবে শিক্ষকদের হেনস্থা করেন৷ এটা মোটেই কাম্য নয়৷’’

তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘চাকরির সময় এমন কোনও শর্তে শিক্ষকরা আবদ্ধ নয়, তাঁরা শিক্ষা বহির্ভূত কাজ করবেন৷ শিক্ষার অধিকার আইন ২০০৯ এ পরিস্কার ভাবে উল্লিখিত আছে শিক্ষকদের দিয়ে কোনও শিক্ষা বহির্ভূত কাজ করানো যাবে না৷ শুধুমাত্র ভোট গ্রহণ ও জাতীয় বিপর্যয়ের সময় শিক্ষকদের কাজের জন্য নেওয়া যেতে পারে৷ সর্বোপরি উচ্চ আদালত ২০১৮ সালে এক মামলার রায়ে বলে দিয়েছে, অনিচ্ছুক কোনও শিক্ষককে দিয়ে ডিও-বিএলও কাজ করানো যাবে না৷ ফলে নির্বাচন আধিকারিকদের শিক্ষকদের দিয়ে এই সমস্ত কাজ করানো থেকে বিরত থাকার দাবি জানাচ্ছি৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − 9 =