বর্ধিত বেতনে কেন উধাও ‘মহার্ঘ ভাতা’? জবাব চাইতে মুখ্যসচিবকে চিঠি কর্মচারি সংগঠনের

বর্ধিত বেতনে কেন উধাও ‘মহার্ঘ ভাতা’? জবাব চাইতে মুখ্যসচিবকে চিঠি কর্মচারি সংগঠনের

কলকাতা: নতুন বছরে নতুন বেতন কাঠামো অনুসারে বেতন হলেও ডিএ শব্দটাই উধাও রাজ্য সরকারি কর্মীদের পে স্লিপ থেকে। নতুন নিয়মের আওতায় অর্থ দপ্তরের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (এইচআরএমএস) পে অ্যান্ড অ্যালাওয়েন্স থেকেই তুলে হয়েছে ডিএ-র কলাম। এই প্রথম এমন নজির বিহীন ঘটনায় রাজ্য সরকারি কর্মীরা শুধু আশ্চর্যই হননি যেমন হতাশ হয়েছেন, তেমনই যথেষ্টই ক্ষুব্ধ। মহার্ঘ্য ভাতা বা ডিএ নিয়ে বঞ্চনার প্রতিবাদে এবার পদক্ষেপ নিতে চলেছে ওয়েস্টবেঙ্গল গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (নবপর্যায়)।

বিংশতম দ্বিবার্ষিক রাজ্য সম্মেলনে এই ইস্যুতেই বিক্ষোভ প্রদর্শন করবেন সংগঠনের সদস্যরা। আজ  বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্সে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। এবিষয়ে একটি স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হবে রাজ্যের মুখ্য সচিবের হাতে।

সরকারি কর্মীরা মূল বেতনের সঙ্গে তিন ধরনের ভাতা পান। মহার্ঘ্য ভাতা, বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা। এ ছাড়াও বিশেষ ভাতা রয়েছে। সেগুলি হল পাহাড়ে কর্মরত কর্মীরা পান হিল অ্যালাওয়েন্স, ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করার জন্য আরএ, চিকিৎসকরা নন প্র্যাকটিসিং অ্যালাওয়েন্স। কিন্তু ডিএ না থাকায় বেতন কিছুটা কমে যাবে সেটাই স্বাভাবিক। এদিকে গত বছর জুলাই মাসে মহার্ঘ্য ভাতা নিয়ে এক মামলার রায়ে স্যাট জানিয়ে দিয়েছিল যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ন্যায্য অধিকার মহার্ঘ্য ভাতা। তাই শুধু বকেয়া ভাতা মেটালেই হবে না তিনমাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় হারে দিতে হবে বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতা। সেই টাকা কীভাবে দেওয়া হবে, তাও ঘোষণা করতে বলা হয়েছিল সরকারকে। যদিও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন বেতন বাড়ানো হলেও রাজ্যের অর্থভাণ্ডারে এইমুহুর্তে সেই পরিমাণ অর্থ নেই যা থেকে মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়া যায়। সেক্ষেত্রে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *