ভোটের আগে কেন প্রকাশ্যে আসছে না দেশের বেকারত্বের সংখ্যা?

নয়াদিল্লি: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে কোনওরকম জনবিরোধী নীতি প্রকাশ্যে আসুক, চায় না কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। তাই যেনতেন প্রকারেণ নিজেদের ব্যর্থতা চাপা দিতে বদ্ধপরিকর বিজেপি। সেকাজও চলছে পুরোদমে। ২০১৫-তে মুদ্রা যোজনার প্রকল্প আনে সরকার, এই যোজনা মূলত নমোর মস্তিষ্ক প্রসূত। বলা হয়েছিল মুদ্রা যোজনাই দেশের বেকারদের সংখ্যা নির্ধারণ করে তাদের কাজের সুযোগ করে দেবে, কেউ যদি

ভোটের আগে কেন প্রকাশ্যে আসছে না দেশের বেকারত্বের সংখ্যা?

নয়াদিল্লি: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে কোনওরকম জনবিরোধী নীতি প্রকাশ্যে আসুক, চায় না কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। তাই যেনতেন প্রকারেণ নিজেদের ব্যর্থতা চাপা দিতে বদ্ধপরিকর বিজেপি। সেকাজও চলছে পুরোদমে। ২০১৫-তে মুদ্রা যোজনার প্রকল্প আনে সরকার, এই যোজনা মূলত নমোর মস্তিষ্ক প্রসূত। বলা হয়েছিল মুদ্রা যোজনাই দেশের বেকারদের সংখ্যা নির্ধারণ করে তাদের কাজের সুযোগ করে দেবে, কেউ যদি ছোটখাটো ব্যবসা করতে চায় তারও রাস্তা করে দেবে এই সংস্থা। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল, তেমন কিছুই ঘটেনি। ১৫, ১৬, ১৭, এমনকী ১৮ পেরিয়ে ১৯ চলছে। বর্তমান মোদি সরকারের মেয়াদও শেষের পথে। এখনও জনগণ জানে না দেশে ঠিক কত শতাংশ মানুষ কাজের সুযোগ পেয়েছে আর কত শতাংশ এখনও বেকার।

মজার বিষয় হল জাতীয় পরিসংখ্যান কমিশনের কাছে মুদ্রার এই সংক্রান্ত তথ্য থাকলেও সরকারি নির্দেশে প্রকাশ করা হচ্ছে না, অন্তত এমনটাই অভিযোগ করা হচ্ছে। তাহলে কী দাঁড়াল বিজেপি সরকার জনসমর্থন ধরে রাখতে এতদিন যেসব বুলি আউড়েছে তার সবটাই সারবত্তাহীন? নোট বাতিলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত তাহলে কোনওরকম ফলদায়ক বার্তা দেশবাসীর জন্য বয়ে আনেনি, মিথ্যে স্বপ্ন দেখিয়েছেন নমো? বলা বাহুল্য, হিসেব অন্তত তাই বলছে। দেশের বেকারের হার গত ৪৫ বছরের মধ্যে সব থেকে বেশি এসম্পর্কে নিশ্চিত তথ্যপ্রমাণ সংবাদ মাধ্যমের কাছে এসেছে, জাতীয় পরিসংখ্যান সমিতিও বিষয়টিতে ওয়াকিবহাল। তাই তারা স্পিকটি নট, কারণ সরকার কিছুতেই নির্বাচনের আগে নিজেদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চায় না।

সেকারণেই মুদ্রা যোজনার অন্তর্গত বেকার ও কর্মজীবীর মোট সংখ্যা জানার ইচ্ছে থেকে থাকে তাহলে তাকে দমিয়ে রাখুন। ভোটপর্ব চুকলে জানতে পারবেন মোদি সরকার আদতে দেশের জনগণের কতটা ক্ষতিসাধন করেছে। আসলে ভোট বড় বালাই ক্ষমতায় টিকে থাকতে হলে ভোট চাই আর ভোট পেতে হলে অন্যায়কে তো চাপা দিতেই হবে, হোক না বেকার বৃদ্ধির হার সরকারের কি। এহেন বিধিনিষেধ মানতে না পেরে পরিসংখ্যান কমিটির এক কর্তা ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন, তিনি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে সরকার বিরোধী ক্ষোভ প্রকাশেও দ্বিধাবোধ করেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

7 − three =