কলকাতা: ভোট শেষ৷ উঠে গিয়েছে নির্বাচনী আচরণ বিধি৷ ক্ষমতা ফিরে পেয়েছে রাজ্য সরকার৷ শুরু হয়েছে দপ্তরে দপ্তরে বদলি, প্রশাসনিক ঘর গোছানোর পালা৷ বদল হয়েছে রাজ্য মন্ত্রীসভাও৷ ভোটের পর প্রশাসন স্বাভাবিক ছন্দে ফেরিতেই থমকে যাওয়া শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া ফের চালু করার দাবিতে ফের রাজপথে নামলেন নিয়োগপত্র পাওয়া কয়েকশো চাকরিপ্রার্থী৷ আদালতের নির্দেশ মেনে দীর্ঘ পাঁচ মাস পড়ে থাকা শিক্ষক নিয়োগ নতুন করে চালুর দাবিতে আজ দিনভর আচার্য সদনের সামনে বিক্ষোভ দেখান সফল শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষা বিভাগের ২২০ জন চাকরিপ্রার্থী৷
ঠিক কী কারণে এই আন্দোলন? এবিষয়ে চাকরিপ্রার্থী চন্দন জানা জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশে এই মুহূর্তে ঝুলে শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া৷ আদালতের তরফে মেধাতালিকায় থাকা চাকরিপ্রার্থীদের পূর্ণাঙ্গ বিবরণ চেয়ে পাঠানো হলেও তা এখনও করে উঠতে পারেনি কমিশন৷ আর এর জেরে থমকে নিয়োগ৷ চাকরি-প্রার্থীদের দাবি, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে অবিলম্বে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করুক কমিশন৷
নিয়োগে সমস্যা কোথায়? চাকরিপ্রার্থীদের তরফে জানানো হয়েছে, শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষা শিক্ষক নিয়োগের জয়েনিং প্রক্রিয়ার জন্য কমিশনের তরফে দু’টি দিন ধার্য করা হয়৷ ২৮ ও ৩০ জানুয়ারি সফল চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগপত্র দেওয়ার কথা ছিল৷ ২৮ জানুয়ারি ৮৯০ চাকরিপ্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়৷ নিয়োগপত্র বিলি শুরু হতেই ২৯ তারিখ আদালতের তরফে নিয়োগে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়৷ বেশ কিছু ওয়েটিং চাকরিপ্রার্থীদের মামলার জেরে ৩০ জানুয়ারি ৮০৩ জন সফল চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগপত্র বিলির কাজ থমকে যায়৷ পরে, আদালতের তরফে চাকরিপ্রার্থীদের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চাওয়া হলেও তা এখনও জমা করে উঠতে পারেনি কমিশন৷ আর তার জেরেই দীর্ঘ পাঁচ মাস ঝুলে শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষায় শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া৷ নিয়োগ থমকে থাকায় নিয়োগপত্র হাত না পেয়ে চূড়ান্ত বিপাকে ৮০৩ সফল চাকরিপ্রার্থী৷ তাঁদের দাবি, আদালতের নির্দেশ পালন করে স্থগিতাদেশের প্রত্যাহারের উদ্যোগ নিক কমিশন৷ ফের চালু হোক নিয়োগ৷ এই দাবি তুলে আজ দিনভর বিক্ষোভ দেখান চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ পরে, চেয়ারম্যান আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে আশ্বস্ত করেন৷