কলকাতা: কেন এখনও চালু হল পে প্রোটেকশন? কেন অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শিক্ষকদের নতুন বিদ্যালয়ে যুক্ত হওয়ার প্রশ্নে পে প্রোটেকশন নিশ্চিত করা হচ্ছে না? মূলত এই দাবির ভিত্তিতে এবার শিক্ষামন্ত্রী ও বিকাশ ভবন অভিযান শিক্ষকদের একাংশ৷ শিক্ষকদের বিদ্রোহের মুখে পড়ে অবশেষে প্রতিক্রিয়া দিলেন শিক্ষামন্ত্রী৷
শিক্ষকদের অভিযোগ, বিধানসভায় ঘোষণা করা সত্ত্বেও এখনও পে প্রোটেকশনের নির্দেশ হাতে পাচ্ছেন না নতুন স্কুলে যোগদানকারী শিক্ষকরা৷ অবিলম্বে তা কার্যকর করার দাবিতে আজ শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির সামনে অবস্থান করেন মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সদস্যরা৷ পরে শিক্ষকদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী৷ শিক্ষক সংগঠনের তরফে বিশ্বজিৎ মিত্র ও অনিমেষ হালদার জানিয়েছেন, শিক্ষামন্ত্রী আমাদের জানিয়েছেন, শিক্ষকদের পে প্রোটেকশন অনুমোদন পার্থবাবু দিয়ে দিয়েছেন৷ কিন্তু, আধিকারিকরা তাঁরা এখনও কার্যকর করতে পারেননি৷ ফাইল আটকে আছে বিকাশ ভবনে৷
শিক্ষামন্ত্রীর তরফে এহেন বার্তা পাওয়ার পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়ি থেকে সটান বিকাশ ভবনে চলে যান শিক্ষকরা৷ শিক্ষামন্ত্রীর অনুমোদন দেওয়ার পরও কেন পে প্রোটেকশন কার্যকর হচ্ছে না? তা জানতে আজ বিকাশ ভবনে গিয়ে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কমিশনার তরুণ কুমার মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার দাবিও জানান শিক্ষকদের একাংশ৷ তরুণবাবু অন্য একটি বৈঠকে ব্যস্ত থাকায় প্রায় চার ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছেন শিক্ষকদের একাংশ৷ তবে, আজ পে প্রোটেকশনের নির্দেশ বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করা না হলে বিকাশ ভবনেই ধর্নায় বসার ডাক দিয়েছেন শিক্ষক সংগঠনের প্রতিনিধিরা৷
অভিযোগ, কর্মরত শিক্ষকরা SLST দিয়ে নতুন স্কুলে যুক্ত হওয়ার পর পাচ্ছেন না চাকরির কনটিনিউয়েশন। নতুন স্কুলে নিযুক্ত হওয়ার পর তাঁরা জানতে পারছেন, তাঁদের ইনিশিয়াল পে নিতে হবে৷ অতএব ৩-১৫ বছর চাকরি করার পর এখন তাঁদের মাসিক বেতন এক ধাক্কায় ৫-২০ হাজার টাকা কমে গিয়েছে৷
গত ৪ জুলাই শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিধানসভায় শিক্ষাদপ্তরের বাজেট পেশ করে কর্মরত শিক্ষকদের আর্থিক লোকসান ঠেকাতে পে প্রোটেকশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানান৷ কর্মরত শিক্ষকদের একটা বড় অংশই বাড়ির কাছাকাছি আসার জন্য চাকরির পরীক্ষায় বসেছিলেন৷ মাধ্যমিক শিক্ষকরা উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে উচ্চতর বেতনের আশায় পরীক্ষায় বসেছিলেন তাঁরা৷ কিন্তু নতুন স্কুলে যোগ দেওয়ার পর তাঁরা সংশ্লিষ্ট ধাপের ন্যূনতম বেতন পাচ্ছেন৷ দীর্ঘদিন চাকরি করে আসার ফলে তাঁরা সিনিয়রিটি, বর্ধিত বেতন, সবকিছু থেকেই বঞ্চিত হচ্ছেন৷ কারও কারও মাসিক লোকসানের পরিমাণ ২০ হাজার টাকা পর্যন্তও রয়েছে৷ বাজেট নিয়ে আলোচনায় এই প্রসঙ্গ তোলেন বিরোধী দলের সদস্যরা৷ জবাবি ভাষণে কর্মরত শিক্ষকদের পে প্রোটেকশনের কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী৷ অভিযোগ, বিধানসভায় ঘোষণা হলেও এখনও তা কার্যয়ক হয়নি৷