কেন হচ্ছে না শিক্ষক নিয়োগ? জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

তমলুক: দুর্নীতির দায়ে একাধিক মামলা জমেছে হাইকোর্টে৷ প্রশ্নের মুখে স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া৷ একদিকে আকাশ ছোঁয়া দুর্নীতি, অন্যদিকে একের পর এক মামলায় জেরবার স্কুল শিক্ষা দপ্তর৷ এসএসসির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ থমকে৷ উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ শুরু হলেও প্রাথমিক ও মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও ঝুলে৷ এই পরিস্থিতিতে এবার খোদ মমতা

কেন হচ্ছে না শিক্ষক নিয়োগ? জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

তমলুক: দুর্নীতির দায়ে একাধিক মামলা জমেছে হাইকোর্টে৷ প্রশ্নের মুখে স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া৷ একদিকে আকাশ ছোঁয়া দুর্নীতি, অন্যদিকে একের পর এক মামলায় জেরবার স্কুল শিক্ষা দপ্তর৷ এসএসসির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ থমকে৷ উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ শুরু হলেও প্রাথমিক ও মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও ঝুলে৷ এই পরিস্থিতিতে এবার খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন হলদিয়া জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মদক্ষের৷ শিক্ষক নিয়োগে জটিলতা প্রসঙ্গে জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷

দিঘার প্রশাসনিক বৈঠকে একের পর এক সমস্যার নিয়ে আলোচনায় বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেখানে বৈঠক শেষ হওয়ার কিছু মুহূর্ত আগেই দলের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সেখানেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর প্রশ্ন৷ হলদিয়া জেলা পরিষদের কর্মদক্ষ তথা বিধানসভার পরাজিত প্রার্থী মধুরিমা মণ্ডল মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, ‘‘আমাদের রাজ্যজুড়ে একটা বড় সমস্যা রয়েছে৷ স্কুল সার্ভিসের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ৷ যদি কিছু করেন৷’’

মুখ্যমন্ত্রী সামনে এহেন প্রশ্ন ধেয়ে আসতেই জবাব দেন তিনি৷ বলেন, ‘‘এইগুলি আমি কিছু জানি না৷ যা বলার পার্থর সঙ্গে কথা বলবেন৷ আমার পক্ষে দেখা সম্ভব নয়৷ এগুলি আমি দেখি না৷ ইন্ডিভিজুয়াল, ইন্ডিভিজুয়াল মামলা৷ হাইকোর্টের সব মামলা করে রেখে দিয়েছে৷ এবার আমাকে দেখতে হবে…৷’’

মুখ্যমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দিকে ইঙ্গিত করে দিলেো এই দিয়ে চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন৷ অনেকেই বলছেন মুখ্যমন্ত্রী কি ওই মঞ্চ থেকে ঘোষণা করতে পারতেন না, শিক্ষক নিয়োগ সমস্যা যত দ্রুত সমাধান করা হবে৷ কিন্তু তাঁর না করেই শিক্ষামন্ত্রী ঘাড়ে গোটা বিষয়টি চাপিয়ে দিয়ে আদতে গোটা সমস্যা সমাধানের কোনও ইঙ্গিত পাওয়া গেল না বলেই মনে করছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷

এর আগে চলতি সপ্তাহে হওড়ার প্রশানিক সভা থেকে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আগেই মুখ খুলেছিলেন৷ শিক্ষা দপ্তর ও শিক্ষক নিয়োগ নিয়োগ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘একটা চাকরি পেয়ে গেলেই কি করছে, কিছু দিন পর চলে আসছে, মাইনে বাড়াও৷ এই বাড়াও, সেই বাড়াও৷ এটা হতে পারে না৷ কিন্তু, যা দিয়েছি, তাই নিতে হবে৷ এর বেশি আমি পারব না৷’’

শিক্ষা দপ্তরের ঘুঘুর বাসা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘পার্থদার এডুকেশন ডিপার্টমেন্ট নিয়ে আমি তো পাগল হয়ে যাচ্ছি৷ হাজারটা জানলা খুলে রেখে দিয়েছে৷ আড়াই লক্ষ লোককে নিয়েছে৷ কাউকে দুশো, কাউকে ৪০০, কাউকে ৫০০, কাউকে ৬০০৷ সব দেখছি রাস্তায় বসে পড়ছে৷ নেওয়ার আগে ভাবে না৷ আমি তো সেই কারণে বলি কেন্দ্র বলছে না, এক-দু’হাজার টাকায় লোক নিতে, আমি বলছি একদম নেবেন না৷ কারণ কিছুদিন পরেই ওদের আমার ঘরে এসে পড়বে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *