এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক থেকে কেন মিলছে না চাকরি? বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক থেকে কেন মিলছে না চাকরি? বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

কলকাতা: রাজ্যের কর্মসংস্থানের হাল ফেরাতে ফের এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কে নাম নথিভুক্ত করার বিষয়ে আরও গুরুত্ব বাড়ানোর নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আজ দুর্গাপুরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে চাকরিপ্রার্থীদের সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকে ভর্ৎসনা করে বেশ কিছু নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী৷

প্রশাসনিক বৈঠক থেকে শ্রমদপ্তরের কাজ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান, কেন এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক থেকে কাজ মিলছে না? মন্ত্রী মলয় ঘটককে ভর্ৎসনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কে যারা নাম লেখান, তাঁরা দয়া করে নাম নথিভুক্ত করুন৷ নতুন করে নাম না না তুললে বাদ চলে যায়৷ দেখে নাও (মলয় ঘটককে উদ্দেশ্য করে) যারা অ্যাপ্লিকেশন করেছে, ওরা কোন বিষয়ে পরে দরকার হলে এককালীন এঁদের সহযোগিতা কর৷ যাদের নাম বাদ পড়ে গেছে তাদেরকে একবার সুযোগ দাও৷’’

এদিন দুর্গাপুরে একটি কারখানায় কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রসঙ্গ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ জানান, ‘‘গন্ডগোল যাই থাকুক না কেন, যারা করবে তাদের প্রতি আমার কোনো সমর্থন থাকবে না৷ দু’পক্ষকে বসতে হবে৷ তিন দিনের মধ্যে কমপ্লিট করতে হবে৷ আমি কোনও কথা শুনতে চাই না৷ মলয় ঘটক আপনাকে নিরপেক্ষ হতে হবে৷ সংস্থাকেও আমি বলব লিবারেল হতে৷ দু’পক্ষকে নিয়ে কাজ কর৷ ২৯ জনকে নাকি তোমরা ছাঁটাই করে দিয়েছ? আমাকে সেই তথ্য আছে৷ ২৯ জনকে ছাঁটাই করে আবার নতুন করে ২৯ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে৷ তারা তোমরা কেন নতুন লোক নিয়োগ করলে? প্রথমে তোমার উচিত ছিল, ওই ২৯ জনের সমস্যা সমাধান করা৷ তুমি নতুন করে ২৯ জনকে কেন নিয়োগ করলে৷ এই সমস্ত চলবে না৷ আগামী তিন দিনের মধ্যে বিষয়টি সমাধান করতে হবে৷’’

অন্যদিকে, ২০১৮ সালের রাজ্য সরকারের আর্থিক সমীক্ষার রিপোর্টে জানানো হয়, রাজ্য সরকারের এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কে নথিভুক্তদের মধ্যে প্রায় ১০ লক্ষের কর্মসংস্থান হয়েছে৷ ওই সালে এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কে নথিভুক্ত কর্মপ্রার্থীর সংখ্যা ছিল ২৬ লক্ষ ৪৬ হাজার ৩ জন৷ রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে ২০১২ সালের জুলাই মাসে এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক চালুর সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কের পোর্টালে কর্মপ্রার্থী ও নিয়োগকারী সংস্থার নাম নথিভুক্তকরণের ব্যবস্থা করা হয়৷ নিয়োগকারী এই পোর্টাল থেকে নথিভুক্ত কর্মপ্রার্থীদের বেছে নেবে, সেই লক্ষ্যেই এটি চালু করা হয়েছিল৷ কিন্তু, নাম তোলার পরও মেলেনি চাকরি৷

যদিও এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কে নথিভুক্তদের মাসে দেড় হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা আগেই করেছিল রাজ্য৷ ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে ‘যুবশ্রী’ নামে এই প্রকল্পটি চালু করা হয়৷ একইসঙ্গে সর্বাধিক এক লক্ষ নথিভুক্ত কর্মপ্রার্থীকে ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয় এই প্রকল্পে৷ ১৮ সালের আর্থিক সমীক্ষায় জানানো হয়, ৯৫ হাজার ৫৯৫ জন এই ভাতা পায়েছেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *