পার্শ্ব শিক্ষক সমস্যায় দায়ী কে? ঘোষণা ‘সহানুভূতিশীল’ পার্থর

ডায়মন্ডহারবার: চূড়ান্ত অচলাবস্থা৷ একদিকে শীতের কামড়, মাথার উপর শিশির, অন্যদিকে লাগামছাড়া মশার দাপট৷ একাধিক প্রতিকূলতাকে জয় করে টানা এক ১৪ দিন ধরে নিজেদের অধিকারের দাবিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন পার্শ্ব শিক্ষকদের একাংশ৷ এই নিয়ে ১০ দিনে পড়ল শিক্ষকদের অনশন৷ কিন্তু অনশনে জুটল না একটি অ্যাম্বুলেন্স, পানীয় জল৷ ইতিমধ্যেই টানা অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বেশ কয়েকজন শিক্ষক৷

পার্শ্ব শিক্ষক সমস্যায় দায়ী কে? ঘোষণা ‘সহানুভূতিশীল’ পার্থর

ডায়মন্ডহারবার: চূড়ান্ত অচলাবস্থা৷ একদিকে শীতের কামড়, মাথার উপর শিশির, অন্যদিকে লাগামছাড়া মশার দাপট৷ একাধিক প্রতিকূলতাকে জয় করে টানা এক ১৪ দিন ধরে নিজেদের অধিকারের দাবিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন পার্শ্ব শিক্ষকদের একাংশ৷ এই নিয়ে ১০ দিনে পড়ল শিক্ষকদের অনশন৷ কিন্তু অনশনে জুটল না একটি অ্যাম্বুলেন্স, পানীয় জল৷ ইতিমধ্যেই টানা অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বেশ কয়েকজন শিক্ষক৷ একজন শিক্ষিকারও মৃত্যু হয়েছে৷ কিন্তু, তারপও হেলদোল নেই রাজ্যের৷ মৃত্যু, অসুস্থতা, ধর্না, অনশনের পরও ফের পার্শ্ব শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ দায় চাপালেন বামফ্রন্টের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্তের ঘাড়ে৷

ডায়মন্ডহারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীনিবাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্য, পার্শ্ব শিক্ষকদের প্রতি সহানুভূতিশীল রাজ্য সরকার৷ কিন্তু তাঁদের দাবি পূরণে প্রয়োজন টাকা৷ সেই টাকা কে দেবে? পার্শ্ব শিক্ষকদের এই সমস্যার পিছনে পূর্বতন বাম সরকারকে দায়ী করে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্তকে কাঠগড়ায় তোলেন শিক্ষামন্ত্রী৷ বলেন, বাম আমলে অসীমবাবু বিভিন্ন পদের নাম করে বিধিবহির্ভূতভাবে একের পর এক শিক্ষক নিয়োগ করেছেন৷ ফলে, সেই চাপ এখন আমাদের উপর পড়েছে৷ আমাদের সরকার তাঁদের নিয়োগ করেনি৷

এর আগে মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শিক্ষকদের সামগ্রিক বিষয়গুলি বিবেচনায় আনা হয়েছে৷ এবং আনা হয়েছে বলেই ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ টাকা আমরা বাড়িয়েছি ২০১৮ সালে৷ তার আগেও আমরা ২০১৪-১৫ সালে তাঁদের ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরির মেয়াদ ও তিন বছর অন্তর ৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির বিষয়টিও আমরা করেছি৷ বৃত্তিমূলক শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও তিন বছরে ৫ শতাংশ শহরে বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷ এরপর ওঁরা আমাদের কাছে আসে৷ ইপিএফ আওতায় আনা যায় কি না, আমরা তা বিবেচনা করেছি৷

স্বাস্থ্যসাথী আওতায় আনা যায় কি না, আমরা সেটাও দিয়েছি৷ ওদের কিছু ছুটির দাবি ছিল, তার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে৷ ওরা ঠিকমতো ক্লাসের সুযোগ-সুবিধা পেত না৷ সেটা আমরা ব্যবস্থা করে দিয়েছি৷’’ শিক্ষামন্ত্রীর এই মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয় শিক্ষকদের মধ্যে৷ পরে শিক্ষামন্ত্রী তাঁর ফেসবুক প্রোফালে পোস্ট করা সেই মন্তব্য সংক্রান্ত ভিডিওটি মুছে ফেলেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen + 8 =