ষষ্ঠ বেতন কমিশনের মেয়াদ বাড়াল কে? সরকার নাকি কমিশন? মিলছে জবাব

আজ বিকেল: রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়ছে না। এনিয়ে ক্ষোভের শেষ নেই। এদিকে ভোটের ফল বেরনোর পরেই ষষ্ঠ বেতন কমিশন নিয়ে মুখ খুলে নয়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর সাফ দাবি, কমিশন সময় মতো রিপোর্ট না দেওয়ায় এবার আর সরকারি কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি সম্ভব হল না৷ তাছাড়া বেতন বাড়াতে গিয়ে সরকারে জনপ্রিয় প্রকল্পগুলিও তিনি বন্ধ

ষষ্ঠ বেতন কমিশনের মেয়াদ বাড়াল কে? সরকার নাকি কমিশন? মিলছে জবাব

আজ বিকেল:  রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়ছে না। এনিয়ে ক্ষোভের শেষ নেই। এদিকে ভোটের ফল বেরনোর পরেই ষষ্ঠ বেতন কমিশন নিয়ে মুখ খুলে নয়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর সাফ দাবি, কমিশন সময় মতো রিপোর্ট না দেওয়ায় এবার আর সরকারি কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি সম্ভব হল না৷ তাছাড়া বেতন বাড়াতে গিয়ে সরকারে জনপ্রিয় প্রকল্পগুলিও তিনি বন্ধ করে দিতে নারাজ। এদিকে মমতা সব দায় কমিশনের ঘারে চাপালেও চেয়ারম্যান অভিরূপ সরকার ঠিক উল্টো কথা বলেছেন। তাঁর দাবি, কমিশন মোটেও সময় চায়নি, ভুল কথা বলা হচ্ছে৷

অভিরূপবাবুর দাবি, সরকারই কমিশনের সময় বাড়িয়ে দিয়েছে। ২০১৫ সালের ২৭ নভেম্বর, অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকারের নেতৃত্বে ষষ্ঠ বেতন কমিশন গঠন করা হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত মোট পাঁচ বার কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের পরে শেষবার সাত মাসের জন্য কমিশনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে যার সময় শেষ হচ্ছে আগামী ২৬ ডিসেম্বর। এনিয়ে অভিরূপ সরকারের বক্তব্য, প্রথম তিন বার সময় বাড়ানোর আবেদন করেছিল কমিশন। কিন্তু শেষ দু’বার সরকারই কমিশনের মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে। এদিকে সোমবার নবান্নে সরকারের কাজের পর্যালোচনা বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ডিসেম্বরে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্ট জমা পড়লে যতটা সম্ভব বেতন বাড়ানো হবে। কিন্তু বেতন বাড়াতে গিয়ে রাজ্য সরকারের জনপ্রিয় প্রকল্পের কোনওটি বন্ধ করতে চান না তিনি। এরই সঙ্গে সঙ্গে তিনি বলেন, “কমিশন এখনও কাজ শেষ করতে পারেনি। তাই সরকারও কিছু করতে পারছে না। কমিশন রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়েছে।”

তাহলে অভিরূপ সরকার নাকি রাজ্য সরকার, কার কারণে বেতন কমিশনের রিপোর্ট আটকে, উত্তর খুঁজছে সাধারণ কর্মচারীদের একাংশ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *