লকডাউনে ধস নেমেছে শিক্ষকদের কর্মসংস্থানে, বলছে রিপোর্ট

লকডাউনে ধস নেমেছে শিক্ষকদের কর্মসংস্থানে, বলছে রিপোর্ট

cf8058d60eff8bed4ac2c61b2af0de83

 

নায়াদিল্লি:  করোনা বদলে দিয়েছে মানুষের জীবনের স্বাভাবিক ছন্দ৷ গত কয়েক মাসে ঘটে গিয়েছে অর্থনৈতিক ও সামাজিক পট পরিবর্তন৷ করোনা সংক্রমণ রুখতে দীর্ঘ লকডাউনে মধ্যে দিয়ে গিয়েছে দেশ৷ চাকরি খুইয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ৷ লকডাউনের এই কয়েক মাসে বিপুল পরিমাণে চাকরি হারিয়েছেন ইঞ্জিনিয়র, চিকিৎসক, শিক্ষক, অ্যাকাউন্টেন্ট এবং বিশ্লেষকদের মতো হোয়াইট কালার বেতনভোগী কর্মচারীরা৷ গত মে থেকে অগাস্ট মাস পর্যন্ত প্রফেশনালি যোগ্যতাসম্পন্ন এই হোয়াইট কালার কর্মীরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন৷ এই সময়ের মধ্যে তাঁদের কর্মসংস্থান দ্রুত হ্রাস পেয়ে ১২.২ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে৷ সম্প্রতি এমনই চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি৷ 

আরও পড়ুন- সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বাদ পড়ছে CSAT টেস্ট? সংসদে জানাল কেন্দ্র

 

রিপোর্ট বলছে, ২০১৬ সালের পর থেকে এটাই সর্বনিম্ন কর্মসংস্থান৷ এমনকী গত চার বছরে তাঁদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে যে সমস্ত সুযোগ সুবিধা তাঁরা পেয়েছিল লকডাউনের মধ্যে তা প্রায় সবটাই হারিয়ে গিয়েছে৷ ২০১৯ সালে মে থেকে অগাস্ট মাসের মধ্যে হোয়াইট কালার প্রফেশনাল কর্মীদের কর্মসংস্থান পৌঁছে গিয়েছিল ১৮.৮ মিলিয়নে৷ চলতি বছর এপ্রিল মাস পর্যন্ত তা ১৮ মিলিয়নের উপরেই ছিল৷ কিন্তু লকডাউন শুরু হতেই নেমে আসে বড়সড় ধস৷ যদিও হোয়াইট কালার প্রফেশনের সঙ্গে জড়িত করণিক পদের কর্মীদের উপর লকডাউনের তেমন প্রভাব পড়েনি৷ যেমন ডেস্ক-ওয়ার্ক থেকে শুরু করে বিপিও/কেপিও কর্মী, ডাটা অন্ট্রি অপারেটর, সিএমআইই প্রভৃতি৷ রিপোর্টে বলা হয়েছে এই হোয়াইট কালার করণিক পদের কর্মীরা লকডাউনে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুবিধাটা নিয়েছে৷ 

আরও পড়ুন- নতুন ব্যবসা শুরু করতে চান? ২ লক্ষ টাকা ঋণ দিচ্ছে রাজ্য, বিজ্ঞপ্তি নবান্নের

উল্লেখ্য হল এই শ্রেণির কর্মীদের ২০১৬-র পর থেকে কোনও বৃদ্ধি হয়নি৷ এমনকী ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে করণিকদের কর্মসংস্থান ১৫ মিলিয়ন থেকে কমে ১২ মিলিয়ন হয়ে গিয়েছে৷ তবে লকডাউনে তাঁদের উপর বিশেষ প্রভাব পড়েনি৷ অথচ বাকি হোয়াইটকালার প্রফেশনালদের ক্ষেত্রে লকডাউনের প্রভাব মারাত্মক৷ এই সময়সীমার মধ্যে কর্মসংস্থান কমেছে প্রায় ৬.৬ মিলিয়ন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *