কলকাতা: একদিকে ভোট, অন্যদিকে স্কুলে টানা দু’মাসের ছুটি৷ জোড়া বাধায় ফের থমকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া৷ থমকে নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের নিয়োগপত্র বিলির কাজ৷ কবে দেওয়া হবে নিয়োগপত্র? দফায় দফায় আচার্য সদন ও মধ্য শিক্ষা পর্ষদে গিয়েও খালি হাতে ফিরতে চলছে সফল চাকরিপ্রার্থীদের৷ চাকরির দোরগোড়ায় দাঁড়িয়েও নিয়োগপত্র না পেয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ ফলে, এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ফের গণ-বিদ্রোহের প্রস্তুতি নিতে শুরু করলেন নিয়োগের অপেক্ষায় থাকা চাকরি-প্রার্থীদের একাংশ৷
কবে দেওয়া হবে তৃতীয় কাউন্সেলিংয়ের নিয়োগপত্র? সম্প্রতি চাকরিপ্রার্থীদের তরফে আচার্য সদনে যোগাযোগ করা হয়৷ সেখানে চাকরিপ্রার্থীদের জানিয়ে দেওয়া হয়, আগামী ২৭ মের পর তৃতীয় কাউন্সেলিংয়ের নিয়োগপত্র দেওয়া হবে৷ এই কাজের জন্য আচার্য সদন সমস্ত কাজ শেষ করেছে ফেলেছে৷ এর পর কমিশন থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, কমিশন থেকে সুপারিশপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ গত সপ্তাহেই জানানো হয়, নবম-দশমে ৭৪০ জনের সুপারিশপত্র পাঠানো হয়েছে৷ কিন্তু, এবার কি সমস্ত সুপারিশপত্র পাঠানো হয়েছে? জবাব মেলে, ‘যদি কিছু প্রয়োজন থাকে, তাহলে পর্ষদে যোগাযোগ করো৷’ এরপর পর্ষদের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, এখন সুপারিশপত্র চেয়ে পাঠিয়ে কী হবে? প্রথমত ভোট, দ্বিতীয়ত ২ মাস স্কুল বন্ধ৷ স্কুল না খুললে জয়েনিং করাবে কে?
শিক্ষক নিয়োগে গতিপ্রকৃতি দেখে এসএসসি যুব-ছাত্র অধিকার মঞ্চের তরফে বৃন্দাবন ঘোষ বলেন, ‘‘যা পরিস্থিতি তাতে ভোটের পর পরই একটা বড়সড় আন্দোলন না করলে কমিশন বা সরকার কারোরই ঘুম ভাঙবে না! নিয়োগপত্র আটকে যাওয়া মানেই পরবর্তী কাউন্সেলিং বা অন্যান্য প্রক্রিয়া থমকে থাকবে৷ ২ মাস স্কুল বন্ধ করে একদিকে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে উচ্ছন্নে পাঠানোর যথোপযুক্ত ব্যবস্থা করেছে৷ আর অন্যদিকে দীর্ঘ বেকার জীবন যন্ত্রণা দগ্ধ এসএসসি চাকরি প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ আরও অন্ধকারে পাঠানোর ব্যবস্থা করল বর্তমান সরকার৷ ঝিমিয়ে না পড়ে আবার নতুন উদ্যমে আমরা দ্রুত নিয়োগের দাবিতে পথে নামব৷ সকলে তৈরি থাকুন৷ সঠিক সময়ে আবার কলকাতা দেখবে বেকার যুবদের আর্তনাদ৷ গর্জনে গর্জনে মুখরিত হয়ে উঠবে চাকরি প্রার্থীদের ন্যায্য দাবির বাস্তব চিত্র৷’’