রাজ্যের মোট শূন্যপদের সংখ্যা কত? পড়ুন চাঞ্চল্যকর তথ্য

কলকাতা: রাজ্যে মোট অনুমোদিত শূন্যপদের সংখ্যা কত? গত ১০ জুলাই রাজ্য বিধানসভা অধিবেশনে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, খুব শীঘ্রই ৩৩ হাজার ৬৬৭ শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ করা হবে৷ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে এই শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগেও আশ্বাও দিয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু, আদতে রাজ্যের অনুমদিত শূন্যপদের সংখ্যা কত? চাঞ্চল্যকর তথ্য এবার প্রকাশ্যে আনাল কনফেডারেশন অফ স্টেট গভমেন্ট

রাজ্যের মোট শূন্যপদের সংখ্যা কত? পড়ুন চাঞ্চল্যকর তথ্য

কলকাতা: রাজ্যে মোট অনুমোদিত শূন্যপদের সংখ্যা কত? গত ১০ জুলাই রাজ্য বিধানসভা অধিবেশনে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, খুব শীঘ্রই ৩৩ হাজার ৬৬৭ শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ করা হবে৷ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে এই শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগেও আশ্বাও দিয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু, আদতে রাজ্যের অনুমদিত শূন্যপদের সংখ্যা কত? চাঞ্চল্যকর তথ্য এবার প্রকাশ্যে আনাল কনফেডারেশন অফ স্টেট গভমেন্ট এমপ্লয়িজ৷ রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠনের দেওয়া তথ্য স্যতিই চমকে দেওয়ার মতো!

এর আগে একাধিক নির্বাচনী প্রচারে কিংবা প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করে এসেছেন, দেশজুড়ে যখন বেকারত্ব বাড়ছে, তখন রাজ্যে বেকারত্ব কমেছে ৪০ শতাংশ৷ এক কোটি চাকরি দিয়েছে রাজ্য সরকার৷ কেন্দ্র সরকারও নিজেদের ঢাক পেটাতে ছাড়েনি৷

২০১৪ সালে নির্বাচনী প্রচারে নরেন্দ্র মোদি বছরে ২ কোটি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন৷ কিন্তু, তা রাখতে পারেননি, তা একবাক্য মেনে নেন দেশের অধিকাংশ জনতা৷ তবে, সেই অস্বস্তি কাটাতে কেন্দ্রের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, সারা দেশে সরকারি ক্ষেত্রে মোট অনুমোদিত পদের সংখ্যা ৩৮ লক্ষ ২ হাজার ৭৭৯৷ অনুমোদিত ৩১ লক্ষ ১৮ হাজার ৯৫৬টি পদে সরকারি কর্মী রয়েছেন৷ শূন্যপদের সংখ্যা মোট ৬ লক্ষ ৮৩ হাজার ৮২৩টি৷

রাজ্যের মোট শূন্যপদের সংখ্যা কত? পড়ুন চাঞ্চল্যকর তথ্যকিন্তু, এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আদতে রাজ্যে অনুমদিত শূন্যপদের সংখ্যা কত? সরকারি ভাবে সেই তথ্য প্রকাশ করা না হলেও চাঞ্চল্যকর দাবি করে রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভমেন্ট এমপ্লয়িজ৷ সংগঠনের  সভাপতি শ্যামল মিত্র বেতন কমিশন চালুর দাবিতে লেখা খোলা চিঠিতে রাজ্যের শূন্যপদের সংখ্যা তুলে ধরেছেন৷ রাজ্যের মুখ্যসচিবকে পাঠানো চিঠিতে সংগঠনের তরফে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‘কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের ক্ষেত্রে এক নজিরবিহীন অর্থনৈতিক শোষণ চলছে৷ গত ৩১ মার্চ ১৯৯৬ এর অনুমোদিত (বর্তমানে বর্ধিত জনসংখ্যার অনুপাতে এই অনুমোদিত কর্মীপদ সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পাওয়ার কথা যা এখনও হয়নি) শূন্যপদ ছিল ৪ লক্ষ ৮৪ হাজার ২৯০ জন৷ বর্তমানে কর্মীর সংখ্যা ২ লক্ষ ৭৬ হাজার ১১৯৷ অর্থাৎ শূন্যপদ ২ লক্ষ ৮ হাজার ১৭১টি৷ এই ২ লক্ষ ৮ হাজার ১৭১ শূন্যপদে কোন নতুন নিয়োগ নেই৷ ফলে ভয়াবহ কর্মী ঘাটতি সমস্যায় জর্জরিত রাজ্য প্রশাসন৷ বর্তমান জনসংখ্যা প্রতি ১ লক্ষ জনসংখ্যা পিছু গত ৩১ মার্চ ১৯৯৬ এর অনুমোদিত কর্মী পদ সংখ্যা যা ছিল সেই হারে বর্তমান অনুমোদিত কর্মী পদ সংখ্যা বৃদ্ধি হওয়া জনস্বার্থে অত্যন্ত জরুরি৷’’

সংগঠনের দাবি, ‘‘এই কাজটি করা হলে প্রকৃত শূন্যপদ অনেক বেশি হয় স্বাভাবিক৷ এই বিপুল সংখ্যায় সমস্যায় কর্মীর অভাবে জর্জরিত প্রশাসন৷ ২ লক্ষ ৮ হাজার ১৭১ অবসরপ্রাপ্ত কর্মী নতুন করে পেনশন সংযুক্ত হয়েছেন, যাঁদের জন্য বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করার জন্য সরকারি কর্তাদের অর্ধেক৷ অর্থাৎ বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করার ক্ষেত্রে সরকারের আর্থিক যথেষ্ট দায় অনেকটাই কমেছে৷ এই পরিস্থিতে আমরা দাবি করছি, অবিলম্বে পয়লা জানুয়ারি ২০১৬ থেকে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করুক৷ অবিলম্বে ২ লক্ষ ৮ হাজার ১৭১ শূন্যপদে রাজ্য সরকার পিএসসির মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করুন৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two + 3 =