ভারী শিল্পের জন্য কী করছে বাংলার সরকার? ভিডিও বার্তা ব্রাত্যর

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও জৈব প্রযুক্তি দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ব্রাত্য বসু পশ্চিমবঙ্গে ভারী শিল্পের প্রসার নিয়ে একগুচ্ছ প্রকল্পের কথা জানালেন৷ এক শ্রেণির সংবাদমাধ্যম ও বিরোধীপক্ষের তরফ থেকে তাদের সরকারকে যেভাবে শিল্পবিমুখ হিসেবে প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে দিনের পর দিন, তার বিরুদ্ধে তিনি কটাক্ষের সুরে অনেক কথা জানিয়েছেন৷ তিনি বলেন, ভারী শিল্প নিয়ে

3fce7617ce8577031e4a76edfe314ed0

ভারী শিল্পের জন্য কী করছে বাংলার সরকার? ভিডিও বার্তা ব্রাত্যর

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও জৈব প্রযুক্তি দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ব্রাত্য বসু পশ্চিমবঙ্গে ভারী শিল্পের প্রসার নিয়ে একগুচ্ছ প্রকল্পের কথা জানালেন৷ এক শ্রেণির সংবাদমাধ্যম ও বিরোধীপক্ষের তরফ থেকে তাদের সরকারকে যেভাবে শিল্পবিমুখ হিসেবে প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে দিনের পর দিন, তার বিরুদ্ধে তিনি কটাক্ষের সুরে অনেক কথা জানিয়েছেন৷

তিনি বলেন, ভারী শিল্প নিয়ে বর্তমান তৃণমূল সরকারকে কেউ প্রশ্ন করলেই প্রথমেই সবাই বলতে চান সিঙ্গুর বা নন্দীগ্রামের সেই সমস্ত রক্তঝরা আন্দোলনের দিনগুলির কথা৷ সেদিন অনেকেই বলেছিলেন যে, আন্দোলন হলে তাহলে শিল্প কোথায় হবে৷ সেদিনকার সেই আন্দোলনের ফলে রাজ্য থেকে টাটাদের প্রকল্প বাতিল হয়েছিল৷ কিন্তু এই কথা অস্বীকার করে তিনি জানান, সেদিন সিপিএম হার্মাদ ও পুলিশের বিরুদ্ধে সিঙ্গুরের চাষিদের পাশে দাঁড়িয়েছিল মা-মাটি-মানুষের দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

তিনি দাবি করেন, আজ রাজ্যে বড় বড় হাইওয়ে, দারুন দারুন রাস্তা, দারুন দারুন হাইওয়ে আলো ঝলমলে রাস্তা, ফ্লাইওভারে ছেয়ে গেছে৷ লোডশেডিং নেই কোথাও৷ ফলে স্পষ্ট, শিল্পের জন্য যে পরিকাঠামোর প্রয়োজন তার সব কিছুই আজ রাজ্যে পাওয়া যাচ্ছে৷ তার ফলে শিল্পস্থাপনে আগ্রহী শিল্পপতিরাও আজ একথা স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছেন৷ তার ফলও ফলতে শুরু করেছে বলে তিনি দাবি করেন৷

টাটাদের কথা দিয়েই তিনি শুরু করেন৷ তিনি প্রথমেই খড়গপুরের টাটা-হিতাচি কোম্পানির উল্লেখ করেন৷ তিনি বলেন, টাটা কোম্পানি খড়গপুরের কারখানার ব্যবস্থায় খুশি হয়ে জামশেদপুর থেকে তাদের পুরো কোম্পানিটাকে তুলে আনছেন খড়গপুরে৷ এর ফলে হাজার হাজার ছেলের চাকরি হবে বলে তিনি দাবি করেন৷

তারপরে তিনি দাবি করেন, টাটা স্পঞ্জ আয়রন কোম্পানির৷ এদের কারখানা ছিল কেওনঝাড়ে৷ সেখান থেকে সেই কোম্পানির হেড অফিস চলে আসছে এই কলকাতা শহরে৷ ফলে সেখানে ম্যানেজমেন্ট ক্যাডাররা অনায়াসে চাকরি পেতে পারেন বলেও তিনি দাবি করেন৷

এর পরে তিনি জানান, রানীগঞ্জে এসার কোম্পানির প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিয়মান শেল গ্যাস উৎপাদন কোম্পানির কথা৷ তিনি বলেন, এই কোম্পানির পরিবেশ দফতরের ছাড়পত্রও পাওয়া হয়ে গেছে বলে তিনি জানিয়েছেন৷

মূলত এই তিনটি বড় কোম্পানির কথা জানিয়েই তিনি দাবি করেন যে, ‘‘আমাদের সরকারের বিরুদ্ধে এতদিন ধরে যে মিথ্যা ধারনা গড়ে তুলেছে এক শ্রেণির মিডিয়া এবং কিছু লোক মিলে সেই ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি আমি এবং দাবি করছি যে, আমার মুখের কথা বিশ্বাস না করে আপনারা নিজেরাই যাচাই করুন, আমার কথাগুলো সত্যতা৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *