চাকরি পেতে গেলে ঠিক কী কী করবেন? পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর

নামখানা: আর মাত্র কয়েকটা দিন৷ শেষ হতে চলেছে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রণের উৎসব৷ তার পরই খোলা হবে ইভিএম৷ আগামী ২৩ মে জানা যাবে ফলাফল৷ ওই দিনই স্থির হয়ে যাবে কারা পেলেন দিল্লির টিকিট৷ দিল্লি দখলের লক্ষ্যে গত দেড় মাসের প্রচারে প্রধান ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে কর্মসংস্থান৷ শাসক থেকে বিরোধী, সব দলের অস্ত্র এক, কর্মসংস্থা৷ পিছিয়ে নেই তৃণমূল৷

f0ccbdf46651451d5c8d4de8279fc0a8

চাকরি পেতে গেলে ঠিক কী কী করবেন? পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর

নামখানা: আর মাত্র কয়েকটা দিন৷ শেষ হতে চলেছে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রণের উৎসব৷ তার পরই খোলা হবে ইভিএম৷ আগামী ২৩ মে জানা যাবে ফলাফল৷ ওই দিনই স্থির হয়ে যাবে কারা পেলেন দিল্লির টিকিট৷ দিল্লি দখলের লক্ষ্যে গত দেড় মাসের প্রচারে প্রধান ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে কর্মসংস্থান৷ শাসক থেকে বিরোধী, সব দলের অস্ত্র এক, কর্মসংস্থা৷ পিছিয়ে নেই তৃণমূল৷ সোমবার শেষ দফার প্রচারে নামখানার সভা মঞ্চ থেকে সেই কর্মসংস্থানকেই হাতিয়ার করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ চাকরি পেতে কী কী করণীয় তাও এদিন সাফ জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷

এদিনের নির্বাচনী সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, ‘‘আমরা রাজ্যে ৪০ শতাংশ বেকারত্ব কমিয়েছি৷ এটা দেশের রেকর্ড৷’’ আগামীতে চাকরি পেতে হলে একগুচ্ছ বিষয়ের উপর চাকরিপ্রার্থীদের গুরুত্ব দেওয়ার কথাও জানান মমতা৷ বলেন, ‘‘দেশে যখন এত বেকারত্ব বাড়ছে, তখন আমরা ভাবলাম, কীভাবে এর সমস্যা সমাধান করা যাবে৷ তারপর আমরা উৎকর্ষ বাংলা চালু করলাম৷ এখানে প্রশিক্ষণ নিলে চাকরি পাকা৷ এই তো ভোটের আগে ১০ হাজার প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের অফার লেটার দিয়ে এলাম৷’’ বলেন, ‘‘আজ ছেলেদেও নার্সিংয়ের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে৷ আমাদের প্রচুর নার্স প্রয়োজন৷ নার্সিং করলে চাকরি পাকা৷ এই তো আমরা ১০ হাজার নার্স নিলাম৷ আরও নিতে হবে৷ আপনারাও প্রশিক্ষণ নিয়ে রাখুন৷’’

বলেন, ‘‘ধরুন কেউ গড়ি চালাতে চাই, তার প্রশিক্ষণ দিচ্ছি৷ কেউ গ্যারেজ খুলতে চাই, আমরা তাঁর প্রশিক্ষণ দিচ্ছি৷ ওরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছে, আর আমরা ওদের নাম লিখে রাখছি৷ তারপর কাজ এলে তাঁদের হাতে অফার লেটার পাঠিয়ে দিচ্ছি৷’’

উৎকর্ষ বাংলা৷ রাষ্ট্রপুঞ্জের সহযোগী সংস্থা দ্য ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটিতে বিশ্বসেরা হয়েছে মমতার ‘উৎকর্ষ বাংলা’৷ রাজ্যের যুবাদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য এই প্রকল্প চালু হয়েছে৷ এই প্রকল্পের অধীনে বছরে ৬ লক্ষ যুবক-যুবতীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে৷ যুবক-যুবতীদের সুবিধায় চালু হয়েছে পোর্টাল৷ www.pbssd.gov.in সাইটে ‘উৎকর্ষ বাংলা’র সমস্ত বিবরণ জানা যাবে৷  রাজ্যে ৩০টি ক্ষেত্রে ৫৭০টি প্রশিক্ষক সংস্থা ১১৯৮টি স্বল্প-মেয়াদি প্রশিক্ষণ শিবিরে, ২৫০টি ইন্ডাসট্রিয়াল ট্রেইনিং ইন্সটিটিউট, ১৫২টি পলিটেকনিকে ও ৩৩৯০টি কারিগরী প্রশিক্ষণ শিবিরে ৩.২৩ লক্ষ ছেলেয়েমেয়েকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে৷ বিভিন্ন স্বল্প-মেয়াদি প্রশিক্ষণ শিবিরে ৩০০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় বিনামুল্যে৷ যে সব ক্ষেত্রে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, সেগুলি হল, পর্যটন ও হসপিট্যালিটি ম্যানেজমেন্ট, পোষাক তৈরি, কৃষি, ঢালাইয়ের, অটোমোবাইল সার্ভিসিং৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *