কলকাতা: লাগাতার ধর্না, অনশন, বিক্ষোভ কর্মচূরির পর এসএসকে ও এমএসকে শিক্ষকদের দাবি-দাওয়া বিবেচনা করে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ সরকারের তরফ থেকে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া পর্যালোচনা করে পরে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়৷ এসএসকে ও এমসেকে শিক্ষকেরা পার্শ্ব শিক্ষকদের মতো সুযোগ-সুবিধার জন্য সরকারের কাছে আর্জি জানানো হয় শিক্ষকদের তরফে৷ তবে এবারে রাজ্যের শিক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, পার্শ্বশিক্ষকদের মতো সরকারি সুযোগ সুবিধা পেতে আগ্রহী এসএসকে ও এমএসকে শিক্ষকদের নির্দিষ্ট কতগুলি প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র সরকারের কাছে পেশ করতে হবে৷
কিন্তু এই শিক্ষকেরা ঠিক কী কী সুযোগ সুবিধা পাবেন? সে বিষয়ে সরকারী নির্দেশিকায় প্রথমেই কিছু বলা ছিল না৷ ফলে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল এসএসকে ও এমএসকে শিক্ষকদের মধ্যে৷ এবার সেই বিভ্রান্তির অবসান ঘটাতে বিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য মঞ্জুর করা সমস্ত সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে বিশদে জানিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করল শিক্ষা দফতর৷
সরকারি নির্দেশিকায় উল্লিখিত নিয়মগুলি হল, শিক্ষকেরা ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত কাজ করতে পারবেন। প্রাথমিক শিক্ষকদের ক্ষেত্রে ১০,০০০ টাকা, উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষকদের ক্ষেত্রে ১৩,০০০ টাকা এবং স্পেশাল এডুকেটর বা বিশেষ শিক্ষকদের ক্ষেত্রে ১২,৫০০টাকা পর্যন্ত বেতন নির্দিষ্ট করা হবে৷ এই সব শিক্ষকদের পিএফের সুবিধা প্রদান করা হবে৷ প্রফেশনাল কোয়ালিফিকেশন বৃদ্ধি করতে হবে৷ শিক্ষকদের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতাভূক্ত করা হবে৷ ছুটির ক্ষেত্রেও বিশেষ সুযোগ সুবিধার বন্দোবস্ত রয়েছে৷ বছরে ক্যাজুয়াল লিভ ১৪ দিন, মেডিক্যাল লিভ একটানা ২০ দিন পর্যন্ত ও মাতৃত্বছুটি ১৮০ দিন, মিসক্যারেজ জনিত ছুটি ৬ সপ্তাহ, শিশু-সন্তান দত্তক সংক্রান্ত ছুটি ১৩৫ দিন ধার্য করা হয়েছে৷