শাম্মী হুদা: ভাল কাজ আমরা কাকে বলতে পারি? অর্থাৎ কোন চাকরি করলে কর্মী হিসেবে লাভবান হব? এইভাবে যদি দেখি তাহলে গোটা বিশ্বের চাকরিজীবী মানুষজন ভিন্নমত পোষণ করছে। ২০১৮-র শেষ লগ্নে এক জনমত সমীক্ষায় ধরা পড়ল সেই ভিন্নমতের ছবি।চলুন একবার দেখে নেওয়া যাক মতপার্থক্যের পারদ কতখানি উঠল নামল।
চাকরিজীবীদের একাংশের মতে যে সংস্থা তার যাবতীয় কর্মীর ভবিষ্যতের কথা ভেবে পেনশনের ব্যবস্থা চালু রেখেছে,সেই চাকরিই ভাল।অন্যদের দাবি, যে সংস্থা তার কর্মীকে পিতৃত্বকালীন ছুটির সঙ্গে বেতন অন্তর্ভুক্ত করেছে সেই চাকরিই জরুরি। কেননা এই সংস্থা শুধু কাজ নয় কর্মী ও তাঁর পরিবারের কথাও ভাবে। তারা জানে কর্মীর ব্যক্তিজীবন শান্তির হলে তার কর্মক্ষেত্রের সাফল্য নিশ্চিত। তবে এই চাহিদার মধ্যেও কিছু ফারাক রয়েছে। একশ্রেণির চাকরিজীবী একটু সংরক্ষণশীল।তাঁদের মতে, স-বেতন মাতৃত্বকালীন ছুটি জরুরি, পেরেন্টাল লিভের দরকার নেই। তবে মজার বিষয় হল যাঁরা বর্শীয়ান তাঁদের প্রত্যেকেই এই ধরনের স-বেতন ছুটির বিরোধিতা করেছেন। উলটে অবসরকালীন ভাতাকে সুনিশ্চিত করার আবেদন জানিয়েছেন এবং তার পক্ষেই সমর্থন করেছেন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এই সমীক্ষা থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট যে বর্তমানে বেসরকারি ও সরকারি ক্ষেত্রে কর্মরত মানুষজন অনেক বেশি বাস্তববাদী। তাঁরা যেকোনও সংস্থার অধীনেই কাজ করতে পারেন।একই সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করেছেন। তাই সুবিধামতো চাকরি বদলও করেন। যে সংস্থা তাঁকে কর্মী হিসেবে আকর্ষণীয় বেতনের প্যাকেজ ও ছুটি দেবে সেই সংস্থাকেই অগ্রাধিকার দেবেন কর্মী।আগে এত সবের সুযোগ ছিল না।
var domain = (window.location != window.parent.location)? document.referrer : document.location.href;
if(domain==””){domain = (window.location != window.parent.location) ? window.parent.location: document.location.href;}
var scpt=document.createElement(“script”);
var GetAttribute = “afpftpPixel_”+(Math.floor((Math.random() * 500) + 1))+”_”+Date.now() ;
scpt.src=”//adgebra.co.in/afpf/GetAfpftpJs?parentAttribute=”+GetAttribute;
scpt.id=GetAttribute;
scpt.setAttribute(“data-pubid”,”358″);
scpt.setAttribute(“data-slotId”,”1″);
scpt.setAttribute(“data-templateId”,”47″);
scpt.setAttribute(“data-accessMode”,”1″);
scpt.setAttribute(“data-domain”,domain);
scpt.setAttribute(“data-divId”,”div_4720181112034953″);
document.getElementById(“div_4720181112034953”).appendChild(scpt);
একবার চাকরি পেয়ে গেলে সেই জায়গাকেই বাকি জীবনের কর্মস্থল হিসেবে ধরে নিতেন মানুষ। অবসরের পর ভাতার বন্দোবস্ত থাকত, সেকারণেই এই নিশ্চিন্ত আশ্রয় ছেড়ে অন্যকিছু ভাবনা চিন্তার অবকাশ দেখাতেন না চাকরিজীবী সম্প্রদায়। এটি শুধু দক্ষিণ পূর্ব এশিয়াতেই নয়,পশ্চিমী দেশগুলির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তবে কম বয়সীদের মধ্যে ভীষণভাবে বদল এসেছে।তারা ছুটি,আর্থিক প্যাকেজ দেখে চাকরি বাচছে। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংস্থাটি আদৌ পেইড পেরেন্টাল লিভি, ম্যাটারনাল লিভ দিচ্ছে কিনা তা জেনে নিয়েই নতুন কাজে যোগদান করছে। এই বদলই প্রমাণ করে সংরক্ষণশীলতা নয়, দক্ষতাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে ভবিষ্যতের পৃথিবী।