কলকাতা: ঢাকঢোল পিটিয়ে আগেই চালু হয়েছে ষষ্ঠ বেতন কমিশন৷ বদলে গিয়েছে রোপা বিধিও৷ বেতন কমিশন কার্যকর হওয়ার ছ’মাস পর আরও এক দফায় রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মূল বেতনের ৩ শতাংশ হারে ‘ইনক্রিমেন্টে’র হতে চলেছে৷ করোনা, আমফান দুযোগের মধ্যেও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতনে সুখবর মিলতে পারে বলে আশা কর্মচারী মহলে৷
বেতন কমিশনের সুপারিশ ও রোপা ৩০৯ ধারা অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীদের বছরে মূল বেতনের ৩ শতাংশ হারে ‘ইনক্রিমেন্টে’র সুবিধা আগেই ঘোষণা করা হয়েছি৷ সাধারণত জুলাইয়ে কর্মচারীদের ‘ইনক্রিমেন্ট’ দেওয়া হয়৷ এবারও তার ব্যথিক্রম হবে বলেই মনে করছেন কর্মচারী মহলের একাংশ৷
ষষ্ঠ বেতন কমিশন চালু হওয়ার পর এই মুহূর্তে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ন্যূনতম মূল বেতন ১৭ হাজার টাকা৷ ৩ শতাংশ হারে ‘ইনক্রিমেন্ট’ বাবদ ৫০০ টাকার বেশি বেতন পাবেন তাঁরা৷ নয়া এই ‘ইনক্রিমেন্টে’ ব্যবস্থায় উপকৃত হবেন রাজ্যের পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে পুরসভা, সরকারি স্বশাসিত সংস্থা ও সরকারি আর্থিক অনুদানে চলা শিক্ষাপ্রাতিষ্ঠানের সমস্ত শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীরা৷
রোপা বিধি অনুযায়ী মূল মাইন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে যুক্ত হবে কয়েকটি ভাতা৷ এই মুহূর্তে সরকারি কর্মচারীরা কোনও মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন না৷ মামলা চলছে আদালতে৷ ফলে, ‘ইনক্রিমেন্ট’ হলেও ডিএ বৃদ্ধির কোনও প্রশ্ন আসছে না৷ মূল বেতনের উপর ১২% হারে বাড়ি ভাড়া ভাতা পাওয়া যাবে৷ বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির জেরে এই খাতে প্রাপ্য টাকার পরিমাণ বাড়বে৷ ইতিমধ্যেও কর্মচারীদের বোনাস ও আগাম বেতন নেওয়ার সুবিধা ঘোষণা করেছে অর্থ দফতর৷
চলতি বছরের পয়লা জানুযারি থেকে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করেছে রাজ্য অর্থ দফতর৷ বেতন কমিশন চালুর হওয়ার পর ‘রোপা ২০১৯’ প্রকাশ করা হয়৷ সেখানে প্রতিবছর জুলাইয়ে বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির কথা উল্লখ ছিল৷ সেই নিয়ম অনুযায়ী ‘ইনক্রিমেন্টে’র হচ্ছে৷ তবে, এবিষয়ে অর্থ দফতর নতুন করে কোনও নির্দেশ জারি হয়নি৷ করোনা আহবে বেতন বৃদ্ধি না হলে বিজ্ঞপ্তি চলে আসত বলেও মনে করছেন কর্মচারী মহলের একাংশ৷ মাসের ৭ দিন হতে চললেও কোনও নির্দেশিকা না আসায় গোটা প্রক্রিয়াটি বহাল থাকছে বলে আশা করছেন কর্মচারী মহলের একাংশ৷ তবে, নতুন কোনও ঘোষণা না হওয়ায় মাস শেষে বেতেনে সেই সুখবর আদৌ বাস্তবায়িত হয় কি না, সেদিকে নজর থাকছে কর্মচারী মহলে৷