বৃষ্টিতে ভিজছে অশক্ত শরীর, সন্তান আগলে আর্জি, ‘দিদি আমরা বাঁচতে চাই!’

আজ বিকেল: আজ, সোমবার ও কাল, মঙ্গলবার গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে, পূর্বাভাস জারি করছে আলিপুর আবহাও দপ্তর৷ হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস জারি হতেই চূড়ান্ত বিপাকে পড়েছেন চাকরির দাবিতে অনশনরত SSC চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ দুর্বিসহ অবস্থার মধ্যেই এক একটি মুহূর্ত কাটাচ্ছেন অনশনরত চাকরিপ্রার্থীরা৷ আজ, পঞ্চম দিনে পড়ল SSC-র সফল চাকরিপ্রার্থীদের অনশন৷ বৃষ্টি থেকে বাঁচতে

ce159929017354cc04df69264da219b2

বৃষ্টিতে ভিজছে অশক্ত শরীর, সন্তান আগলে আর্জি, ‘দিদি আমরা বাঁচতে চাই!’

আজ বিকেল: আজ, সোমবার ও কাল, মঙ্গলবার গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে, পূর্বাভাস জারি করছে আলিপুর আবহাও দপ্তর৷ হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস জারি হতেই চূড়ান্ত বিপাকে পড়েছেন চাকরির দাবিতে অনশনরত SSC চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ দুর্বিসহ অবস্থার মধ্যেই এক একটি মুহূর্ত কাটাচ্ছেন অনশনরত চাকরিপ্রার্থীরা৷ আজ, পঞ্চম দিনে পড়ল SSC-র সফল চাকরিপ্রার্থীদের অনশন৷ বৃষ্টি থেকে বাঁচতে ত্রিপল মাথায় দিয়ে কোনক্রমে চলছে জীবন রক্ষার লড়াই৷

বৃষ্টিতে ভিজছে অশক্ত শরীর, সন্তান আগলে আর্জি, ‘দিদি আমরা বাঁচতে চাই!’অভিযোগ, আগাম অনুমতি নেওয়া হলেও গান্ধীমূর্তির সামনে চারকরিপ্রার্থীদের বসতে দেয়নি পুলিশ৷ পরে, মেয়ো রোডের রাজপথে বসে টানা পাঁচ দিন অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ অনশনস্থলে নূন্যতম ছাউনিও গড়তে দেয়নি পুলিশ৷ বিনা উছনিতে খোলা আকাশের নীচে চলছে অনশন কর্মসূচি৷ তার উপর আবহার খামখেয়ালি৷ মার্চে রেকর্ড শীত ও বৃষ্টি বিপর্যয়ের মধ্যেও নিজেদের দাবিতে অনড় চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ পরীক্ষা দিয়ে সফল হওয়ার পরও চাকরির দাবিতে নিজেদের জীবনকে এবার বাজি রাখতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা৷ কোলে দুধের শিশু ও গর্ভে সন্তানের ভবিষ্যত গড়তেও অনশন মঞ্চে হাজির হয়েছেন বেশ কয়েকজন সফল পরীক্ষার্থী৷ টানা অনশন চালিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৫ জনের বেশি পরীক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন৷ কিন্তু, এই পরিস্থিতি দাঁড়িয়ে সরকারের তরফে লিখিত বিবৃতি চেয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা৷

বৃষ্টিতে ভিজছে অশক্ত শরীর, সন্তান আগলে আর্জি, ‘দিদি আমরা বাঁচতে চাই!’চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, যতক্ষণ না পর্যন্ত তাঁদের দাবি মেনে নিচ্ছে সরকার, ততক্ষণ তাঁদের এই অনশন কর্মসূচি চলবে বলেও সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ তবে, শেষ একবার চেষ্টা করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী৷ অনশনরত চাকরিপ্রার্থীদের বুঝিয়ে কর্মসূচি তুলে নেওয়াও আর্জি জানান৷ কিন্তু, তাতে গুরুত্ব দেননি চাকরিপ্রার্থীরা৷

বৃষ্টিতে ভিজছে অশক্ত শরীর, সন্তান আগলে আর্জি, ‘দিদি আমরা বাঁচতে চাই!’শনিবার সন্ধ্যায় মেয়ো রোডের চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী৷ পার্থবাবু বলেন, যোগ্যতা থাকলে একজন প্রার্থীও বঞ্চিত হবেন না। আমি স্কুল সার্ভিস কমিশনের কর্তাদেরও ডেকেছি। যদি দেখা যায়, কোনও পদ্ধতিগত ত্রুটি রয়েছে, তাহলে সেটা সংশোধন করা হবে। কিন্তু অকৃতকার্য প্রার্থীদের তো আমরা চাকরি দিতে পারি না। এই প্রার্থীদের বললাম, মুখ্যমন্ত্রী নিজে তাঁদের প্রতি সহানুভূতিশীল। এই ঠান্ডার মধ্যে কেন অনশন করছেন? ওঁরা সেটা শুনেছেন। সাংবাদিকদের সামনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “অনশনকারীদের সঙ্গে দেখা হলো। ওদের অনশন তুলে নেওয়ার কথা বললাম। আসলে মুখ্যমন্ত্রী নিজেও ওদের এই অনশনে খুব চিন্তিত। ওদের মঙ্গলবার আসতে বলেছি। তারপর দেখি কী করা যায়। কিন্তু অকৃতকার্যকে তো আর কৃতকার্য করতে পারবো না।”

শনিবার সকালেই সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী যান অনশনকারীদের সঙ্গে দেখা করতে। সেখান থেকেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করে তিনি বলেন, “এতগুলো পরীক্ষার্থী এখানে অনশন করছে। আপনি এদের সঙ্গে এসে একটু দেখা করুন।” তারপরেই সন্ধেবেলা পার্থবাবু যান সেখানে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *