‘ভাত চাই!’ থালা হাতে রাজপথে ১৩ দিনের ধর্না শিক্ষকদের

‘ভাত চাই!’ থালা হাতে রাজপথে ১৩ দিনের ধর্না শিক্ষকদের

7fc464856de8a649d66013d7857ae43a

কলকাতা: একের পর এক শিক্ষক অসন্তোষে জর্জরিত রাজ্য৷ রাজ্য সরকার সাধ্য মতন সেই অসন্তোষ ঢাকার চেষ্টা করেও কার্যত ব্যর্থ৷ কখনও সরকারের পদক্ষেপে খুশি হতে পারছেন শিক্ষকরা, কখনও আবার বঞ্চনার যন্ত্রণায় বাড়ছে ক্ষোভ৷ গত সপ্তাহে  শিক্ষকদের নিজের জেলায় পোস্টিং দেওয়ার  ঘোষণা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ যা শিক্ষক মহলে কিঞ্চিত স্বস্তি দিয়েছিল৷ কিন্তু তার কয়েক দিনের মধ্যেই নিউটাউনে কারইগরি ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করলেন রাজ্যের বৃত্তিমূলক শিক্ষকেরা৷

বিক্ষোভের প্রথম দিনে পুলিশের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনলেন তাঁরা৷ অভিযোগের কারণ মূলত অসহযোগীতা৷ পুলিশের তাদের অবস্থান মঞ্চের কাজ সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে বলেও তোলা হয় অভিযোগ৷ তবুও পুলিশি অসহযোগীতা সত্ত্বেও গত ২৭ জানুযারি থেকে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন কয়েকশো শিক্ষক৷ আজ তা ১৩ দিনে পড়ল৷ একটানা ১৫ দিন এই ধর্না চলবে বলে জানা গিয়েছে৷

রাজ্যের আনুমানিক সাড়ে ১২ হাজার শিক্ষক এই আন্দোলনের সঙ্গে নানা ভাবে জড়িত বলে দাবি নিখিল বঙ্গ প্রশিক্ষক সমতির সম্পাদকের৷ কী কারণে এই বিক্ষোভ অবস্থান? তাঁর জবাব, প্রধানত ৪টি দাবি রয়েছে শিক্ষকদের৷ যার মধ্যে রয়েছে আংশিক সময়ের শিক্ষক ও চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ করে স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে৷ অষ্টম শ্রেণি ও দ্বাদশ শ্রেণি উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের কাজের সুযোগ করে দিতে হবে৷ উচ্চ মাধ্যমিকের পরে স্নাতক স্তরেও বৃত্তিমূলক পড়াশুনোর সুযোগ করে দিতে হবে৷ একই সঙ্গে বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে সব সরকারি ছুটিকে বৈধতা দিতে হবে৷ শিক্ষকদের এই অবস্থানে রাজ্য সরকার প্রতিকার করে সেই অপেক্ষায় আন্দোলনকারীরা৷ এই দাবি দাওয়া ছিনিয়ে আনতে দপ্তরের বাইরে খালিগায়ে থালা হাতে বিক্ষোভ শিক্ষকদের৷ ধর্না মঞ্চ থেকে উঠছে, ‘‘আমরা শিক্ষক, আমরা ক্ষুধার্থ৷ চাই একমুঠো ভাত৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *