বকেয়া DA দেওয়ার ক্ষমতা নেই, স্যাটে ‘আত্মসমর্পণ’ রাজ্যের!

নতুন বছরের শুরুতেই একবার পিছিয়ে গেল মহার্ঘ ভাতার মামলার শুনানি৷ আজ রাজ্য সরকারের দায়ের করা স্যাটের রায় পুনর্বিবেচনা ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কর্মচারী মহলের আদালত অবমাননা সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল৷ দীর্ঘ শুনানি শেষে ফের আরও এক মাস পিছিয়ে গেল মামলার শুনানি৷ ফলে, নতুন বছরে প্রথম বেতনে মিলবে না বকেয়া মহার্ঘ ভাতা৷

কলকাতা: নতুন বছরের শুরুতেই একবার পিছিয়ে গেল মহার্ঘ ভাতার মামলার শুনানি৷ আজ রাজ্য সরকারের দায়ের করা স্যাটের রায় পুনর্বিবেচনা ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কর্মচারী মহলের আদালত অবমাননা সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল৷ দীর্ঘ শুনানি শেষে ফের আরও এক মাস পিছিয়ে গেল মামলার শুনানি৷ ফলে, নতুন বছরে প্রথম বেতনে মিলবে না বকেয়া মহার্ঘ ভাতা৷

মামলার শুনানি প্রসঙ্গে বর্ষীয়ান আইনজীবী মহম্মদ আমজাদ আলি জানিয়েছেন, ২৬ জুলাই ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী পরিষদ পরিষদের পক্ষ থেকে কনফেডারেশন অব স্টেট গভঃ এমপ্লয়িজের মহার্ঘ ভাতা মামলা রায় ঘোষণা করে রাজ্য প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল৷ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হচ্ছে না৷ এই মামলায় রাজ্য প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল চূড়ান্ত রায় দিয়েছিল গত ২৬ জুলাই৷ সেই রায়ের ট্রাইবুনাল বলেছিল, ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর হওয়ার আগে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘভাতা  দিতে হবে অর্থাৎ নতুন পে কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করার আগে৷ কিসের ভিত্তিতে এই মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল তাদের রায়ে উল্লেখ করে দিয়েছিল৷

কিন্তু, দুর্ভাগ্যক্রমে রাজ্য সরকার সেই নির্দেশ কার্যকর করা তো দূরের কথা, কোনও তথ্য প্রকাশ করেনি৷ রাজ্য সরকার ও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের প্রাপ্য দেওয়া হয়নি৷ এরফলে কনফেডারেশন স্যাটের রায় পালন না করার জন্য আদালত অবমাননার দায়ে করে৷ অন্যদিকে রাজ্য সরকার স্যাটের রায় পুনর্বিবেচনা করার জন্য একটি এপ্লিকেশন ফাইল করে৷ সেই দুটো আবেদন শুনানি ছিল আজ৷

রাজ্য সরকারের তরফে আজ স্যাটের রায় পুনর্বিবেচনা করার কারণ উল্লেখ করে জানায়, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা পাওয়ার বিষয়টি আইনগত কোন অধিকার নেই৷ দ্বিতীয়ত, রাজ্য সরকারের আর্থিক ক্ষমতা নেই সেটা মিটিয়ে দেওয়ার৷ তৃতীয়তঃ, প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল তাদের রায় দেওয়ার সময় কিছু আইন বিবেচনা করেনি৷ ফলে, রায় পুনর্বিবেচনা করা হোক৷

এর পাল্টা সরকারি কর্মচারীদের পক্ষে কনফিগারেশনের পক্ষে আইনজীবী আমজাদআলি তার তীব্র বিরোধীতা করেন৷ রাজ্যের আইনজীবিদের তোলা সমস্ত প্রশ্নের জবাব দেন তিনি৷ জানান, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ভাতা না দিয়ে বিষয়টি নিয়ে শুধুশুধু আইনি জটিলতার মধ্যে ফেলা হচ্ছে৷ দীর্ঘ সময় কাটানোর চেষ্টা করছে রাজ্য৷ কারণ, রাজ্যের তিনটি আপত্তির মধ্যে দু’টি আপত্তি নিয়ে আগেই শুানানি হয়েছে৷ ফলে, একই বিষয় দ্বিতীয়বার তুলে সময় কেনার চেষ্টা চলছে৷ কর্মচারী সংগঠনের আইনজীবী বলেন, ‘‘সরকারের এই পদক্ষেপ রীতিমতো হয়রানিমূলক৷ বেআইনি এবং রিভিউ করার যে আইনগত নীতি আছে সেই নীতি বিরোধী৷’’ আজ সব পক্ষের সওয়াল শোনার পর ট্রাইব্যুনাল বেশ কিছুয়া সময় চেয়ে নিয়েছে৷ আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *