কলকাতা: দীর্ঘ লকডাউন চলছে। এই পরিস্থি্তিতে একাধিক পেশার মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। স্কুলগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সরকারি হোক বা বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকা থেকে শিক্ষাকর্মী সবাই বেতন পাচ্ছেন৷ ফলে, লকডাউনে তাঁরা সেভাবে বিপাকে না পড়লেও সমস্যায় পড়েছেন বিভিন্ন সরকারি বা সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত স্কুলের অস্থায়ী শিক্ষক শিক্ষিকারা!
একটি সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত স্কুলের অস্থায়ী শিক্ষক রূপক ব্যানার্জি জানিয়েছেন, অত্যন্ত স্বপ্ল পারিশ্রমিকে তাঁরা কাজ করেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা যথেষ্ট থাকার পরেও তাঁরা ৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা পারিশ্রমিকে কাজ করেন। স্কুলে নিয়মিত শিক্ষিক বা শিক্ষিকা নিয়োগ না হওয়ার জন্য পার্ট টাইমে শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগ করা হয়। অভিযোগ, দীর্ঘদিন স্বল্প বেতনে কাজ করার পরেও যখন কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা চলে আসেন, পার্ট টাইম টিচারদের সরিয়ে দেওয়া হয়। যার ফলে ফের তাঁরা বিপদে পড়েন। নতুন করে চাকরি খুঁজতে পায়।
রূপক ব্যানার্জি জানিয়েছেন, সম্প্রতি রাজ্য সরকার কলেজগুলোতে অস্থায়ী অধ্যাপকদের স্থায়ীকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁদের বেতন পরিকাঠামোও স্থির করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে পার্ট টাইম শিক্ষক, শিক্ষিকারা তাঁদের স্থায়ী করণের দাবি জানালেও রাজ্যের তরফে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না বলে রূপক ব্যানার্জি জানিয়েছেন। তিনি মন্তব্য করেছেন, পার্ট টাইম শিক্ষক শিক্ষিকাদের মূলত স্কুল ফান্ড থেকে বেতন দেওয়া হয়। তাই এখন স্কুল বন্ধ থাকার কারণে তাঁরা কোনও বেতন পাচ্ছেন না। তাই লকডাউনে বিকল্প কোনও উপায় পাচ্ছেন না।
অস্থায়ী শিক্ষক শিক্ষিকাদের তরফে মুখ্যমন্ত্রী,শিক্ষামন্ত্রী,অর্থমন্ত্রী এবং শিক্ষা দফতরের কাছে দুটি দাবি পেশ করা হয়ছে। এক- চাকরির স্থায়ীকরণ (৬০ বছপ পর্যন্ত) এবং দুই- নির্দিষ্টা সম্মানিক মাসিক ভাতা প্রদান করা। এই বিষয়ে অস্থায়ী শিক্ষিক সমিতির তরফে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।