কলকাতা: ভোটের থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ জীবন! প্রাণ সংশয় নিয়ে ভোটের কাজ করা সম্ভবন না৷ ভোট কর্মীদের নিরাপত্তার নিশ্চিত ও বুথে বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন না থাকলে ভোটের কাজ বয়কটের ডাক পার্শ্বশিক্ষক ঐক্যমঞ্চের৷ শুধু কাজ বয়কট নয়, ভোটের কাজ বাবদ বরাদ্দ অর্থ কমিশনকে ফিরিয়ে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি বাংলার শিক্ষকদের৷
ভোটের কাজে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এর আগে একাধিকবার কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করা হলেও তা কাজে আসেনি৷ নিরাপত্তার দাবিতে কর্মীমহলে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হলেও এখনও পর্যন্ত সমস্যা সমাধান হয়নি৷ ফলে, ভোটের দিন যতই এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে ক্ষোভ৷ সমস্ত বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে ভোটের কাজ বয়কট করারও ডাক দেওয়া হয়েছে৷
এবিষয়ে পার্শ্বশিক্ষক ঐক্যমঞ্চের আহ্বায়াক ভগীরথ ঘোষ বলেন, ‘‘গত ২৯ মার্চ অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক সঞ্জয় বসুর এক প্রেস বিবৃতি থেকে আমরা জানতে পারেছি, ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় আমাদের সুনিশ্চিত নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীসহ সশস্ত্র নিরাপত্তা বাহিনী থাকবে কি না তা এখনও নিশ্চিত নয়৷ এই ঘটনায় আমরা যথাযথ দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে নিজেদের জীবন রক্ষার প্রশ্নে অত্যন্ত আশঙ্কিত। কারণ রাজ্যে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে শিক্ষক হত্যার আতঙ্ক, শোক এখনও শিক্ষককুল ভুলতে পারেননি। তাছাড়া কর্মচারী হিসেবে আমাদের চাকরি ও পরিবারের কোনও নিশ্চয়তা নেই৷ ফলে, এই অবস্থায় আমাদের আবেদন, আমাদের সঙ্গে সশস্ত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী সহ নিরাপত্তা বাহিনীর সুনিশ্চিত ব্যবস্থা রাখার লিখিত প্রতিশ্রুতি ছাড়া ভোটকর্মী হিসেবে আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করতে অপারগ। এমনকি আমাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ভোটকর্মী হিসেবে নিয়োজিত হওয়ার জন্য যে অর্থ প্রদান করা হয়েছে বা হবে তা আমরা ফেরত দেব৷’’
তাঁর আরও যুক্তি, ‘‘ভারতীয় সংবিধানের ২১ নং অনুচ্ছেদ আমাদের প্রত্যেকের জীবন রক্ষার অধিকারকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আমরা মনে করি প্রকৃত নিরাপত্তা ছাড়া এই ভোটকর্মী হিসেবে শিক্ষক নিযুক্তিকরণ সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক এবং অমানবিক। তাই শিক্ষকদের উপর চাপিয়ে দেওয়া এই ঝুঁকিপূর্ণ ভোটের কাজ অত্যাবশ্যক হতে পারে না৷’’