ন্যায্য দাবি না মানা পর্যন্ত স্যালাইন নিতে অস্বীকার অসুস্থ SSC চাকরিপ্রার্থীর

আজ বিকেল: শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে চলছে SSC চাকরিপ্রার্থীদের অনশন বিক্ষোভ৷ অনশন চালাতে গিয়ে অসুস্থ তিন চাকরিপ্রার্থী৷ তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করা হলেও দাবি না মানা পর্যন্ত স্যালাইন নিতে অস্বীকার অসুস্থ অনশনকারি চাকরিপ্রার্থী মাইদুল ইসলাম ও কৃষ্ণা দাস৷ আজ, তাঁদের এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি করাবো হয়৷ কিন্তু, হাসপাতালের স্ট্রেচারে শুয়েও প্রতিবাদ জানাতে ভোলেননি কৃষ্ণা-মাইদুল৷ এদিন দুপুরে

af205e0d99f5c5e832495e6bd5fdc8a4

ন্যায্য দাবি না মানা পর্যন্ত স্যালাইন নিতে অস্বীকার অসুস্থ SSC চাকরিপ্রার্থীর

আজ বিকেল: শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে চলছে SSC চাকরিপ্রার্থীদের অনশন বিক্ষোভ৷ অনশন চালাতে গিয়ে অসুস্থ তিন চাকরিপ্রার্থী৷ তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করা হলেও দাবি না মানা পর্যন্ত স্যালাইন নিতে অস্বীকার অসুস্থ অনশনকারি চাকরিপ্রার্থী মাইদুল ইসলাম ও কৃষ্ণা দাস৷ আজ, তাঁদের এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি করাবো হয়৷ কিন্তু, হাসপাতালের স্ট্রেচারে শুয়েও প্রতিবাদ জানাতে ভোলেননি কৃষ্ণা-মাইদুল৷ এদিন দুপুরে মৌসুমি মণ্ডল নামের আরও এক চাকরিপ্রার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত হাসপাতালে যেতে অস্বীকার করেন তিনি৷

নবম-দ্বাদশে শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে খোলা আকাশের নীচে অনশনে বসেছেন ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ আজ দ্বিতীয় দিনে পড়ল তাঁদের এই অবস্থান বিক্ষোভ৷ কমপক্ষে শ’দুয়েক চাকরিপ্রার্থী একযোগে অনশন চালিয়ে যাচ্ছে বলে খবর৷ খোলা আকাশের নীচে চলছে তাঁদের এই অবস্থান৷ তবে, শুরুতে পুলিশের তরফে বাধা দেওয়া হলেও পরে চাকরিপ্রার্থীদের দাবি কাছে নাথানত করে পুলিশ৷

ন্যায্য দাবি না মানা পর্যন্ত স্যালাইন নিতে অস্বীকার অসুস্থ SSC চাকরিপ্রার্থীরবৃহস্পতিবার সকাল থেকে এসএসসি যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের ডাকে এই অবস্থান ও অনশন বিক্ষোভে বসেছেন কয়েকশো চাকরিপ্রার্থী৷ রাতের অন্ধকার কাটিয়ে চলে বিক্ষোভ৷ রাজপথের এককোণে বসে পড়েন তাঁরা৷ প্রথমে মেয়ো রোডের কাছে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অনশনে বসার কথা থাকলেও পুলিশি বাধা দেয় বলে অভিযোগ৷ পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে কলকাতা প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থানে বসেন ওয়েটিং তালিকায় থাকা নবম-দ্বাদশের প্রায় শ’পাঁচেক চাকরিপ্রার্থী৷ আজ, আরও শ’দুয়েক চাকরিপ্রার্থী অনশনে যোগ দিয়েছেন বলে খবর৷ রাতভর বিক্ষোভ ও অনশনের পর সকালে চূড়ান্ত সমস্যায় পড়েল শ’খানিক মহিলা চাকরিপ্রার্থী৷ শৌচালয় বন্ধ থাকায় চূড়ান্ত হেনস্তার মুখেও পড়েন তাঁরা৷

ন্যায্য দাবি না মানা পর্যন্ত স্যালাইন নিতে অস্বীকার অসুস্থ SSC চাকরিপ্রার্থীরস্কুল সার্ভিস কমিশন প্রকাশিত গেজেট অনুযায়ী ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত মেনে পূর্ণঙ্গ শূণ্যপদে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে অবস্থানে বসেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ ২০১৭ সালে ২৭ নভেম্বর একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগের মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়৷ ১২ মার্চ, ২০১৮ সালে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের মেধাতালিকা প্রকাশ করে কমিশন৷ কিন্তু, তারপর থেকেই চাকুরিপ্রার্থীদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় বলে মঞ্চের অভিযোগ৷ আচার্য সদন ও বিকাশ ভবনে ডেপুটেশন দিয়েও কোনও লাভ হয়নি৷

চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, পরীক্ষা দিয়ে সফল হওয়ার পরও তাঁদের ওয়েটিং প্রার্থী তালিকায় রাখা হয়েছে৷ পরীক্ষা নেওয়ার আগে স্কুল সার্ভিস কমিশন একটি গেজেট বার করে৷ যেখানে বলা হয়েছিল, গেজেট অনুযায়ীই পরীক্ষা হবে এবং নিয়োগ হবে। কিন্তু, রেজাল্ট বের হওয়ার পর ওই গেজেটে উল্লিখিত প্রত্যেকটা নিয়ম লঙ্ঘন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়৷ তার মধ্যে আছে ১:১:৪ রেশিও মেনে ওয়েটিং লিস্ট তৈরি হয়৷ অর্থাৎ ১০০টা শূন্যপদ থাকলে সেখানে ওয়েটিং লিস্টে থাকবেন ৪০ জন৷ কিন্তু দেখা যাচ্ছে ১০০টা শূন্যপদের জন্য ওয়েটিংয়ে রাখা হয়েছে ৫০০, ৬০০, ৭০০ জনকে। এরই প্রতিবাদে আজ অনশনে নামেন তাঁরা৷

তাঁদের আরও দাবি, গত ৭ বছর ধরে কোনও নিয়োগ হয়নি। তারপরও স্কুল সার্ভিস কমিশন দাবি করছে, তাদের হাতে সিট নেই। আর যে সিটগুলি ফাঁকা রয়েছে সেগুলির ক্ষেত্রে কমিশন বলছে, যোগ্য প্রার্থী নাকি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না৷ কিন্তু, সফল পরীক্ষার্থীদের ওয়েটিংয়ে রেখে কেন এই সমস্ত কথা বলছে কমিশন? প্রশ্ন চাকরিপ্রার্থীদের৷

ন্যায্য দাবি না মানা পর্যন্ত স্যালাইন নিতে অস্বীকার অসুস্থ SSC চাকরিপ্রার্থীর আর সেই কারণে আজ এই অবস্থান বলে জানা গিয়েছে৷ চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, স্কুল সার্ভিস কমিশনের গেজেট অনুযায়ী আপটুডেট (চূড়ান্ত মেধা তালিকার ১৫ দিন আগের) এর মাধ্যমে ওয়েটিং লিস্টে থাকা সমস্ত ক্যান্ডিডেটদের এম্প্যানেল করতে হবে৷ কিন্তু, তা করা হয়নি বলে অভিযোগ৷ এদিনের এই আন্দোলন প্রসঙ্গে চাকরিপ্রার্থী রাকেশ প্রামাণিক বলেন, ‘‘আমাদের অবস্থান চলছে৷ মৃত্যু এলেও চাকরি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা উঠব না৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *