জেনে নিন, কোন চাকরিতে মোটা বেতন পাওয়া যাবে নতুন বছরে?

একথা ঠিকই যে অর্থনৈতিক মন্দার একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এখন দেশে৷ যার ফল হিসেবে বেতন বৃদ্ধি তো দূরঅস্ত ছাঁটাই পর্যন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে৷ তবে এমন  অনেক কাজ এখন আছে, যার জন্য আপনি নিজেকে তৈরি করতে পারলে এই বাজারেও বছরে পাঁচ অঙ্কের বেতন নিশ্চিত৷

bc30efe3ab0222a990e57a96db9da4d9

নয়াদিল্লি: একথা ঠিকই যে অর্থনৈতিক মন্দার একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এখন দেশে৷ যার ফল হিসেবে বেতন বৃদ্ধি তো দূরঅস্ত ছাঁটাই পর্যন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে৷ তবে এমন  অনেক কাজ এখন আছে, যার জন্য আপনি নিজেকে তৈরি করতে পারলে এই বাজারেও বছরে পাঁচ অঙ্কের বেতন নিশ্চিত৷

চিফ স্কিলস অফিসার: কোনও সংস্থার লার্নিং এন্ড ডেভলপমেন্ট মডিউলসের দায়িত্বে থাকেন এই পদস্থ কর্মীরা৷ বেতন বছরে ১২ থেকে ১৪ লাখ৷

প্রোজেক্ট ম্যানেজার: এঁদের বেতন  বছরে ১২ থেকে ১৪ লাখ৷ কোথাও কোন বড় প্রকল্প হলে, সে আবাসনই হোক কি উড়ালপুল, তার শুরু থেকে শেষ অবধি দেখাশোনার দায়িত্বে থাকেন এঁরা৷

পার্সোনাল স্টাইলিস্ট: এঁদের পেশা ভারি মজার৷ এঁরা কোনও শৌখিন ক্রেতাকে বিভিন্নরকম পরামর্শ দিয়ে থাকেন৷ বিশেষ করে কোনও অনুষ্ঠানে জামাকাপড় বা সাজগোজের জিনিসপত্র কেনার ব্যাপারে এঁদের পরামর্শ নেন ক্রেতারা৷ বছর ঘুরলে এঁদের বেতন ১২ থেকে ১৪ লাখ৷

ইমেজ ম্যানেজার: এঁরা বছরে মাইনে পান ১৫ থেকে ১৭ লাখ৷ বড়-বড় ব্যবসায়ী-শিল্পপতিরা নিজেদের ভাবমূর্তি বা পার্সোনাল ইমেজের ব্যাপারে এঁদের দ্বারস্থ হন৷ এই ইমেজ শুধুই পোশাকের নয়, বলাই বাহুল্য, অন্যান্য কিছু বিষয়ও থাকে এর মধ্যে৷

ওয়েল্থ অপটিমাইজার: ক্লায়েন্ট পিছু এঁরা নেন দুই থেকে চারলাখ টাকা৷ একজন ফাইনানসিয়াল অ্যাডভাইজারের যা করতে হয়, তার থেকে আরও একধাপ বেশি এঁদের কাজ৷ বিনিয়োগকারীর যা সম্পদ রয়েছে, তার দ্বিগুণ করাই এঁদের লক্ষ্য৷

নিউট্রিশনিস্ট: বছরে এখন এঁদের বেতন ৬ থেকে৭ লাখ টাকা৷ একজন ডায়েটিশিয়ানের থেকে এঁদের কাজের পরিধী অনেক বড়৷ শুধুই ডায়েট চার্ট লিখে দেওয়া নয়, বরং সেইসঙ্গে সামগ্রিকভাবে একজন ব্যক্তি কী খাবেন, কতটা খাবেন, রোগবিসুখে পথ্য কী হবে, তা ঠিক করে দেন একজন নিউট্রশনিস্ট৷

সোশাল মিডিয়া ব্র্যান্ড ম্যানেজার: বছরে ১৬ থেকে ১৮ লাখ এঁদের বেতন এখন৷ শুধুই পার্সোনাল ব্র্যান্ড ম্যানেজিংয়ের কাজ করলে চলে না এঁদের৷ আজকের সোশাল মিডিয়ার যুগে কোনও সংস্থা বা তাঁর কর্ণধারের ইমেজ বজায় রাখা বা বলা ভাল ইমেজ তৈরি করা এঁদের কাজ৷

রোবোট হ্যান্ডলার: কৃত্রিম মেধার যুগে বিভিন্ন কাজের জায়গায় এখন মানুষের বদলে রোবর্টকে নিয়োগ করা শুরু হয়েছে৷ দেশের কয়েকটি রেস্তোরাঁয় তো রোবর্ট ওয়েটারও চালু হয়েছে৷ এখন কথা হল, যন্ত্র থাকলেই থাকে যন্ত্রণা৷ তাই, রোবর্ট কোনও কারণে বিগড়ে গেলে তাকে ঠিক করা বা বলা ভাল সামগ্রিকভাবে রোবর্টের নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকেন এই রোবর্ট হ্যান্ডলাররা৷ বছরে এঁদের বেতন এখন ১২ থেকে ১৫ লাখ৷

প্রাইভেসি অফিসার: এঁদের এখন বছরে বেতন ১৮ থেকে ২০ লাখ৷ একটি সংস্থার সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ডেটা সংগোপনে সংরক্ষিত করে রাখার কাজ করেন এঁরা৷ যা আজকের দিনে, বলাই বাহুল্য, খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷

ফিটনেস অফিসার: নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে, এঁদের কাজটা ঠিক কীরকম হতে পারে৷ তবে শুধুই জিমেই নয়, এঁদের এখন কাজের জায়গায় খুবই চাহিদা৷ কোনও সংস্থার কর্মচারীরা যাতে শরীর-স্বাস্থ্যের দিক থেকে ফিট থেকে আরও বেশি আউটপুট দিতে পারেন, সেই দিকেই খেয়াল রাখতে হয় এই ফিটনেস অফিসারদের৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *