অভিজ্ঞতা বাড়াতে নয়, উত্তীর্ণ হতেই UPSC-তে বসুন! থাকছে সাফল্যের ঠিকানা

শাম্মী হুদা: ইউপিএসসি, ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন এই পরীক্ষায় বসতে হলে পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই তাঁর লক্ষ্য সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি। আজকালকার দিনে এমন অনেক পড়ুয়া আছেন যাঁরা অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের জন্য বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষার ফর্ম ফিলআপ করেন।সারা বছর ঠিকমতো পড়াশোনাও হয় না।শুধু নির্ধারিত দিনে পরীক্ষা দিতে যাওয়াই সার। এতে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা সংস্থার সময় পরিশ্রম টাকা

অভিজ্ঞতা বাড়াতে নয়, উত্তীর্ণ হতেই UPSC-তে বসুন! থাকছে সাফল্যের ঠিকানা

শাম্মী হুদা: ইউপিএসসি, ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন এই পরীক্ষায় বসতে হলে পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই তাঁর লক্ষ্য সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি। আজকালকার দিনে এমন অনেক পড়ুয়া আছেন যাঁরা অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের জন্য বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষার ফর্ম ফিলআপ করেন।সারা বছর ঠিকমতো পড়াশোনাও হয় না।শুধু নির্ধারিত দিনে পরীক্ষা দিতে যাওয়াই সার। এতে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা সংস্থার সময় পরিশ্রম টাকা সবই সমান তালে নষ্ট হয়। এটা এক ধরনের অপরাধ।তাই কোনও প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষায় বসার ইচ্ছে থাকলে আগে মন দিয়ে প্রস্তুতি নেওয়াটা জরুরি। নাহলে শুধু কমিশনের নয় ক্ষতিটা সবথেকে বেশি হবে পরীক্ষার্থীর।

চলে আসি ইউপিএসসির কথায়, এই পরীক্ষা দেশের প্রশাসনের যাবতীয় কার্যপদ্ধতি নির্ধারণের জন্য নিযুক্ত কর্মকর্তাদের নিয়োগের ছাড়পত্র দেয়।এই ইউপিএসসি দিয়েই সফল পরীক্ষার্থীরা আইএএস হন। কেউ সরকারি আমলা,কেউ বা বড়মাপের প্রশাসনিককর্তা হন।কেউ পুলিশ সুপার,ডেপুটি কমিশনার, কমিশনার,এমনকী বনদপ্তরের কর্মকর্তাও হন। সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ইউপিএসসি একেবারে ভিভিআইপি স্তরের পরীক্ষা। মেধাবী, পড়াশোনা নিয়ে প্যাশনেট ছাত্রছাত্রীরাই এই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন। তাই আজ হঠাৎ মনে হল ইউপিএসসি দেব আর ফর্ম ফিলআপ করলাম,তা কিন্তু নয়।মূলত যাঁরা ভবিষ্যতের আইএএস হতে চান তাঁদের শিক্ষা স্কুল স্তরেই শুরু হয়ে যায়।

যাইহোক নতুন বছর এসেছে,ইউপিএসসির ফর্ম ফিলআপ অনেকেই করবেন। যাই করুন না কেন, আগে নিজেকে যাচাই করে নিন। আপনি আদৌ এই পরীক্ষায় বসার যোগ্য কি না। প্রশ্নপত্র হাতে পেলে কী লিখবেন। প্রস্তুতি কতটা হয়েছে।তারপর ফর্ম ফিলআপ করুন।কেননা ইউপিএসসি থেকে সেরাদের নির্বাচন করা হয়, আর সেরাদের বেছে নিতে গেলে একসঙ্গে অনেককেই পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়। তার একটা বিরাট খরচ রয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্র নির্বাচন,আয়োজন,প্রশ্নপত্র তৈরির খরচ ও সঠিক ইনভিজিলেটর নিয়োগ।এমনিতেই প্রতি বছর দশ লাখ পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষায় বসেন, কৃতকার্য হন তার অর্ধেক।অনেকে আবার মেন পর্যন্ত পৌঁছাতেই পারেন না, প্রিলিতে আটকে যান।তাই সরকারি অর্থের অপচয় বন্ধকরে আগে নিজেকে তৈরি করুন। কে বলতে পারে আপনার জন্য কোনও ভবিষ্যতের যোগ্য আইএএস ফর্ম ফিলআপের সুযোগ পায়নি। তাছাড়া বয়সের কথাও ভাবতে হবে।জেনারেল ক্যাটেগরির পড়ুয়ারা ৩২ বছর ও ওবিসি ক্যাটেগরির পড়ুয়ারা ৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত এই পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাবেন,তাই ইউপিএসসির সুযোগ নষ্ট করবেন না। সদ্ব্যবহার করুন,পাশ করার জন্যই পরীক্ষায় বসুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen + ten =