কলকাতা: ধর্মতলার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্ণারত নবম-দ্বাদশ স্তরের মেধাতালিকাভুক্ত অথচ চাকরি থেকে বঞ্চিত চাকুরিপ্রার্থীরা ১১৪ দিনের ধর্ণা অবস্থানের পর যে নির্জলা উপবাস শুরু করেছে; আজ তার দ্বিতীয় দিন। গুরুতর অসুস্থ ৩ জন চাকরিপ্রার্থীকে আজ এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- GROUP D: ৫৭৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ হাইকোর্টের!
প্রথম দফায় ডাক পাওয়া সত্ত্বেও স্কুল সার্ভিস কমিশন নম্বর ভিত্তিক মেধাতালিকা প্রকাশ না পাওয়া; ১:১.৪ অনুপাতে নিয়োগের গেজেটকে লঙ্ঘন করায় বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীগণ মেধাতালিকায় সামনের দিকে থাকা চাকরি প্রার্থী হয়েও এরা পাননি নিয়োগ, অথচ মেধাতালিকার পেছনের দিকে থাকা বহু প্রার্থী এমনকি ফেল করা প্রার্থীদেরও অবৈধভাবে চাকরিতে নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। স্কুল সার্ভিস কমিশনের অবৈধভাবে নিয়োগের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের তিন বার বৃহত্তম অবস্থান বিক্ষোভ ও অনশন করতে হয়েছে যথাক্রমে ২০১৯ সালে প্রেসক্লাবের সামনে ২৯ দিনের অনশন; ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে সেন্ট্রাল পার্কের ৫ নম্বর গেটের সামনে ১৮৭ দিনের অবস্থান বিক্ষোভ ও অনশন; ২০২১ সালের ৮ অক্টোবর থেকে ধর্মতলার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ধর্না, যা আজ ১১৬ দিনে পড়েছে।
২০১৯ সালে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের মঞ্চে গিয়ে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে মেধাতালিকা ভুক্ত কোনো প্রার্থী বঞ্চিত হবে না। বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের চাকরিতে ২০১৯ সালে দেওয়া মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে এসেও কার্যকর হয়নি। তার উপর স্কুল সার্ভিস কমিশনের লাগাতার অবৈধভাবে নিয়োগ চলছে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে মুখ্যমন্ত্রী বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের অনশন মঞ্চে গিয়ে সমস্যার সমাধানের জন্য একটি কমিটি গঠনের নির্দেশও দিয়েছিলেন। কিন্তু সমাধান হয়নি সমস্যার। এদিকে আজ এইভাবে আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীরা অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় এই ইস্যু আরও বড় আকার নিতে পারে বলেই অনুমান করা হচ্ছে।