নিয়োগের দাবিতে এবার পথে নামছেন কয়েক হাজার পশু-চিকিৎসক

কলকাতা: বন্ধ নিয়োগ৷ দক্ষ পশুচিকিৎসকদের অভাবে ধুঁকছে গ্রামবাংলার অন্তত ২ হাজার ৬৫২টি পশুচিকিৎসা কেন্দ্র৷ আর তাতেই মার খাচ্ছে বাংলার পশুপালন থেকে শুরু করে গ্রামবাংলার অর্থনীতি৷ কর্মীর অভাবে ধুঁকতে থাকা পশুচিকিৎসা কেন্দ্রের হাল ফেরাতে ও প্রশিক্ষিতদের নিয়োগের দাবিতে এবার আন্দোলনে নামছেন পশুচিকিৎসকদের বৃহদাংশ৷ প্রাণী সম্পদ বিকাশ ভবনের সামনে আগামী ২৯ জুলাই ধর্না কর্মসূচির ডাক পশুচিকিৎসকদের৷ পশ্চিমবঙ্গ

নিয়োগের দাবিতে এবার পথে নামছেন কয়েক হাজার পশু-চিকিৎসক

কলকাতা: বন্ধ নিয়োগ৷ দক্ষ পশুচিকিৎসকদের অভাবে ধুঁকছে গ্রামবাংলার অন্তত ২ হাজার ৬৫২টি পশুচিকিৎসা কেন্দ্র৷ আর তাতেই মার খাচ্ছে বাংলার পশুপালন থেকে শুরু করে গ্রামবাংলার অর্থনীতি৷ কর্মীর অভাবে ধুঁকতে থাকা পশুচিকিৎসা কেন্দ্রের হাল ফেরাতে ও প্রশিক্ষিতদের নিয়োগের দাবিতে এবার আন্দোলনে নামছেন পশুচিকিৎসকদের বৃহদাংশ৷  প্রাণী সম্পদ বিকাশ ভবনের সামনে আগামী ২৯ জুলাই ধর্না কর্মসূচির ডাক পশুচিকিৎসকদের৷

পশ্চিমবঙ্গ সহ সারা দেশের অর্থনীতিতে কৃষিকাজের সঙ্গে পশুপালন বেশ গুরুত্বপূর্ণ৷ কিন্তু এই পশুপালন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রতি মুহূর্তে৷ যার অন্যতম কারণ উপযুক্ত মাত্রই প্রশিক্ষিত লোকের অভাব৷ আর সেই কারণে কোথাও যেন খামতি থাকছে পশুপালনের উদ্যোগ৷ দু’টি গোরু ১০টি হাঁস, খরচ জোগাবে ১২ মাস, সরকার কর্তৃক গৃহীত এই পদক্ষেপ গুলিরও মার খাচ্ছে৷ রাজ‍্যের প্রায় সমস্ত পঞ্চায়েত স্তরে একটি করে পশুদের জন্য স্বাস্থ্য কেন্দ্র আছে৷ যার সংখ্যা ২ হাজার ৬৫২টি৷ এগুলি প্রায় ধুঁকছে দক্ষ কর্মীর অভাবে৷ খাতায় কলমে খোলা থাকলেও বাস্তব বলছে অন্য কথা৷ ফলে, কৃষকে ছুটতে হচ্ছে গ্রাম থেকে দূরে ব্লক প্রাণী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে৷ কিংবা রাজ‍্য প্রাণী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে৷

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১৫ সালে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, এই অভাব মেটাতে ১১০০ কর্মী নেবেন৷ কিন্তু, তখনও পর্যন্ত বাংলায় ১ হাজার ১০০ প্রশিক্ষিত কর্মী ছিল না৷ ফলে, ২০১৬ সাল থেকে শুরু হয় প্রশিক্ষণ দেওয়া কাজ৷ বাম আমলে আসন সংখ্যা ছিল ৭০৷ তা বাড়িয়ে করা হয় ৪১০৷ পশ্চিমবঙ্গের তিনটি প্রাণী সম্পদ বিকাশ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়৷ তার পর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গেছে৷ কিন্তু আজ ছবিটা একই৷ বরং প্রতি বছর অবসর নিচ্ছেন অনেক কর্মী৷ কিন্তু নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া আর শুরু হয়নি৷ ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ মহাশয়ের কাছে বহু বার আবেদন করলেও আজও কিছু আশার আলো দেখা যায়নি৷ এই মুহূর্তে প্রশিক্ষিত কর্মী সংখ্যা ১ হাজার ২০০ বেশি৷ শেষ নিয়োগ হয় ২০১২ সালে৷

এবিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সজ্বল মণ্ডল বলেন, ‘‘আমিও এই প্রশিক্ষণ নিয়েছি৷ কিন্তু, আজ পশুচিকিৎসার হাল খুব বেহাল৷ কিছু হাতুড়ে লোক দিয়ে চিকিৎসা করতে একপ্রকার বাধ্য হচ্ছে গ্রামের সাধারণ কৃষক৷ গত বছর FMD (FOOTH AND MOUTH Disease) বা এঁসো বা খুরাই রোগের নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প চালু করা হয়৷ কিন্তু অপ্রশিক্ষিতদের নিয়োগ করায় এই প্রকল্প সাফল্য পায়নি৷ ফলে গোটা পশ্চিমবঙ্গজুড়ে মারা গিয়েছে অসংখ্য গবাদিপশু৷ এই ভেঙে পড়া পরিস্থিতিকে ফিরিয়ে আনতে আর আমাদের নিয়োগের দাবিতে আমরা ২৯ জুলাই, প্রাণী সম্পদ বিকাশ ভবনের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভের ডাক দিয়েছি৷ উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত আমরা ওই খানেই বসে থাকব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *