অতনুর পর এবার উৎপল! বেকারত্বের জ্বালায় আত্মঘাতী ইঞ্জিনিয়ার

সিউড়ি: বেকারত্বের জ্বালায় নিয়ে সোনারপুরের আত্মঘাতী হয়েছিলেন মেধাবী ছাত্র অতনু মিস্ত্রি৷ যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি না পেয়ে হতাশায় আত্মঘাতী হতে হয়েছিল হাওড়ার বালির বাসিন্দা ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ভবানীশঙ্কর পালকে৷ চাকরি জুটলেও তা টিকিয়ে না রাখতে পেরে অবসাদে আত্মঘাতী হয়েছিলেন যাদবপুরের বাসিন্দা প্রিন্স ভট্টাচার্য৷ এবার অতনু-ভবানীশঙ্কর-প্রিন্সের পথই অসুরণ করতে কার্যত বাধ্য হলেন বাংলার আরও এক চাকরিপ্রার্থী৷ বেকার বাবা৷ চিটফান্ডে লুট

অতনুর পর এবার উৎপল! বেকারত্বের জ্বালায় আত্মঘাতী ইঞ্জিনিয়ার

সিউড়ি: বেকারত্বের জ্বালায় নিয়ে সোনারপুরের আত্মঘাতী হয়েছিলেন মেধাবী ছাত্র অতনু মিস্ত্রি৷ যোগ্যতা
অনুযায়ী চাকরি না পেয়ে হতাশায় আত্মঘাতী হতে হয়েছিল হাওড়ার বালির বাসিন্দা ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার
ভবানীশঙ্কর পালকে৷ চাকরি জুটলেও তা টিকিয়ে না রাখতে পেরে অবসাদে আত্মঘাতী হয়েছিলেন যাদবপুরের বাসিন্দা প্রিন্স ভট্টাচার্য৷ এবার অতনু-ভবানীশঙ্কর-প্রিন্সের পথই অসুরণ করতে কার্যত বাধ্য হলেন বাংলার আরও এক চাকরিপ্রার্থী৷ বেকার বাবা৷ চিটফান্ডে লুট হয়েছে শেষ সঞ্চয়৷ কোনক্রমে ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করলেও মিলছিল না চাকরি৷ বাবার বেকারত্ব,নিজের বাকার দশা কাটাতে মানসিক অবসাদে ভুগে আত্মঘাতী সিউড়ির ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া!

উচ্চশিক্ষার পরও দীর্ঘদিন যাবৎ চাকরি না পাচ্ছিলেন না৷ বেকারত্বের যন্ত্রণায় মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া৷ স্থানীয় সূত্রে খবর, সিউড়ির সমন্বয়পল্লীর বাসিন্দা উৎপল ঘোষ৷ বছর তিনেক আগে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন উৎপল৷ এরপর চাকরির আশায় বিভিন্ন জায়গায় পরীক্ষা দিলেও চাকরি পাননি তিনি৷ চাকরি না পেয়ে দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিল উৎপল। শনিবার সকালে তাঁর ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয়।

পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে চাকরি না পাওয়ার কারণেই এমনটা করেছে সে। বেশ কিছুদিন ধরে ভালোভাবে কথাবার্তাও বলছিল না কারোর সঙ্গে। খাওয়া-দাওয়া করছিল না ঠিকভাবে। শুক্রবার রাতে খাবার খাওয়ার পর ঘুমোতে যায় উৎপল৷ এরপর শনিবার সকালে ঘুম থেকে উঠতে বেশ দেরি দেখে পরিবারের সদস্যরা দরজা ধাক্কা দিতেই দেখেন ঝুলছে উৎপলের দেহ৷

পরে উৎপলের নিথর দেহ উদ্ধার করে সিউড়ি থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিউড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিবার সূত্রের খবর, বাবা ছিলেন রোজভ্যালির এজেন্ট, এখন বেকার। পরিবারের খরচ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল বাবাকে। চাকরি না পাওয়ার কারণে বাবাকেই ওঠাতে হচ্ছিল সমস্ত খরচা। একদিকে অভাব অন্য দিকে চাকরি না পাওয়ার মানসিক অবসাদ, সে কারণেই আত্মঘাতী হয়েছে উৎপল অভিযোগ তার পরিবারের৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 2 =