আজ বিকেল: চলছে ভোট৷ লোকসভা ভোটের উৎসবের মাঝেই এবার উচ্চ প্রথমিকে তৃতীয় দফার ভেরিফিকেশন শুরু হতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি মাসের শেষে প্রায় ১০ হাজার চাকরিপ্রার্থীকে তৃতীয় দফার ভেরিফিকেশনের জন্য ডাকতে পারে কমিশন৷ তবে, ভোটের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করে নির্বাচনী বিধি হবে না তো?
নির্বাচন কমিশনের তরফেও নিয়োগ সংক্রান্ত অবস্থান আগেই স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল৷ নির্বাচনী বিধি মেনে আদৌ নিয়োগ সম্ভব কি না, সংবাদমাধ্যমে রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী অফিসার সঞ্জয় বসু জানিয়েছেন, আগে থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু থাকলে তো সমস্যা নেই। কিন্তু নতুন করে কাউন্সেলিংয়ের তারিখ বা পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা যাবে না৷
কমিশনের তরফে নিজেদের অবস্থান জানানো হলেও বেশ সতর্ক কমিশন৷ লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন ভেরিফিকেশন হলেও তা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করবে না বলেই জানিয়েছেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার৷ তিনি জানান, এগুলি অনগোয়িং প্রসেস৷ ভেরিফিকেশন মানে তো কাউকে চাকরি দেওয়া নয়৷ ফলে কোনও আচরণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে না৷ ভোটের কারণে ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ায় যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতে ভোটগ্রহণের ৩দিন আগে ও পরের ৩দিন কোনও কাজ রাখা হবে না বলেও জানানিয়েছেন কমিশনকর্তা৷
তৃতীয় দফার ভেরিফিকেশনের কারা ডাক পেতে চলেছেন? সৌমিত্রবাবু জানিয়েছেন, গেজেটের নিয়ম অনুযায়ী, ১:১:৪ অনুপাত বজায় রাখতে তৃতীয় দফার ভেরিফিকেশনের জন্য ডাকা হবে৷ একই সঙ্গে নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশে চতুর্থ কাউন্সেলিং হবে বলেও জানিয়েছেন চেয়ারম্যান৷ এদিন তিনি জানান, ইতিমধ্যেই উচ্চ প্রাথমিকে ২৩ হাজার ভেরিফিকেশন করানো হয়েছে৷ প্রথম দফায় উচ্চ প্রাথমিকের ১৩ হাজার শূন্যপদের প্রায় ১৭ হাজার প্রার্থীকে ডাকা হয়েছিল৷ দ্বিতীয় দফায় ৬ হাজার প্রার্থীকে ডাকা হয়৷ এবার তৃতীয় দফায় আরও ১০ হাজার চাকরিপ্রার্থীকে ডাকা হবে৷ স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রে খবর, খুব সম্ভবত এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে ২৪ এপ্রিল থেকে শুরু হতে পারে তৃতীয় দফার ভেরিফিকেশন পর্ব৷ এই সংক্রান্ত খবর আগেই প্রকাশ করেছিল আজ বিকেল ডট কম৷