কলকাতা: মেধা তালিকায় চূড়ান্ত অনিয়মের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে মামলা৷ দীর্ঘ মামলা জটে থমকে গিয়েছে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া৷ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের টেটের বিজ্ঞপ্তি জারি হলেও এখনও পর্যন্ত পরীক্ষার দিনক্ষণ ও শূন্যপদের কোন তথ্য দিতে পারেনি রাজ্য৷ দীর্ঘ ৭ বছর ধরে উচ্চ প্রাথমিক ও প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ায় ক্ষোভ জমছে চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে৷ নতুন শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবি সহ প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ দাবিতে সরব হয়েছেন বাংলার কয়েক লক্ষ চাকরিপ্রার্থী৷ গোটা বাংলা জুড়ে বাড়তে থাকা অসন্তোষ আবহে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শূন্য শিক্ষক পদের হিসাবের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিকাশ ভবন৷ কিন্তু, শূন্যপদের হিসাব নেওয়ার কাজ শুরু হলেও আদৌ হবে নতুন শিক্ষক নিয়োগ? বাড়ছে নয়া উদ্বেগ৷
খবরে প্রকাশ, মাধ্যমিক থেকে শুরু করে উচ্চ মাধ্যমিকে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের শূন্যপদের হিসেব নিতে বিভিন্ন জেলার ডিআইদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ বিকাশ ভবন সূত্রে খবর, শিক্ষক বদলির-সহ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য ২০১৮ সালের ৮ মার্চের পর থেকে তৈরি হওয়া শূন্যপদের হিসেব চাওয়া হয়েছে বলে বাংলার প্রথমশ্রেণির সংবাদপত্রে খবর প্রকাশিত হয়েছে৷
বিভিন্ন জেলায় শিক্ষক ও অশিক্ষক শূন্যপদের হিসাব নেওয়ার কাজ শুরু হলেও আপাতত শিক্ষক নিয়োগের নতুন কোনও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হচ্ছে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর৷ শূন্যপদের হিসাব শুরু হওয়ায়, বিকাশ ভবনে জোর জল্পনা ছিল, হিসাব-নিকাশ পর্ব শেষ হলে খুব সম্ভবত নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে৷ শুরু হতে পারে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া৷ কিন্তু সেই সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে শুক্রবার জানিয়ে দেয়া হয়েছে, এখনই কোনও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার সম্ভাবনা নেই৷ এমনই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে বাংলার একটি প্রথম শ্রেণির একটি দৈনিক সংবাদপত্রে৷ সংবাদপত্রের সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলে দিয়েছে৷ চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে শুরু হয়েছে তীব্র অসন্তোষ৷
কেননা, করোনা মহামারীর আবহে আপাতত নতুন নিয়োগের তালা ঝুলেছে৷ আগামী দিনে কবে নতুন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হবে, তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা৷ গোটা দেশজুড়ে যখন লাফিয়ে বাড়ছে বেকারত্বের সংখ্যা, ঠিক তখন বাংলায় একাধিক শূন্যপদে নিয়োগ জটিলতা ঘিরে বাড়ছে উদ্বোগ৷ উচ্চ প্রাথমিকে ৭ বছর ও প্রায় ৫ বছর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ না হওয়া ঘিরে নতুন করে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে৷