হাওড়া: সর্বভারতীয় স্তরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই রাজ্যের স্কুল শিক্ষকদের বেতন দিতে হবে৷ শুক্রবার মূলত এই বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিয়ে হাওড়ার দাশনগর চপলা দেবী বালিকা বিদ্যালয়ে এক বর্ধিত সাধারণ সভার আয়োজন করে বৃহত্তর গ্রাজুয়েট টিচার্স আসোসিয়েশনের হাওড়া জেলা কমিটি৷ বিজিটির দীর্ঘদিনের দাবি, কেন্দ্র থেকে রাজ্য সব ক্ষেত্রেই এনসিটিই’র নিয়মে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়৷
কিন্তু অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সমহারে বেতন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের সরকারি এবং সরকার পোষিত অথবা সাহায্য প্রাপ্ত স্কুলগুলিতে স্নাতক কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকারা৷ সেক্ষেত্রে সর্বভারতীয় স্তরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ১ লা জানুয়ারী, ২০০৬ থেকে গ্রেড পে ৪৬০০ টাকা ধরে বেতন কাঠামো তৈরি করতে হবে৷ একইসঙ্গে রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে কর্মরত শিক্ষকদের সঙ্গে সমহারে ৩ বার ক্যারিয়ার অ্যাডভান্সমেন্টের সুবিধা দিতে হবে৷
সংগঠনের হাওড়া জেলা সভাপতি শেখ রমিজুর রহমানের কথায়, বিগত দু-দশকেরও বেশি সময় ধরে সর্বভারতীয় স্তরে প্রচলিত স্নাতক-শিক্ষক বেতনক্রম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেষ রাজ্যের পোষিত অথবা সাহায্য প্রাপ্ত স্কুলগুলির স্নাতক শিক্ষকরা৷ সরকারি স্কুলগুলিতে কর্মরত স্নাতক শিক্ষকদের শিক্ষকতার পূর্ণ সময়ে যেখানে তিন বার অর্থাৎ ৮ বছর,১৬ বছর এবং ২৫ বছরে ক্যারিয়ার অ্যাডভান্সমেন্ট সহ বর্ধিত বেতনক্রম নির্ধারিত করা হয়, সেখানে সরকার পোষিত অথবা সাহায্য প্রাপ্ত স্কুলগুলিতে কর্মরত স্নাতক শিক্ষকদের পূর্ণ কর্মজীবনে অর্থাৎ ১৮ বছরে মাত্র একবার ওই সুবিধা দেওয়া হয়৷ এর ফলে ওই শিক্ষক-শিক্ষিকারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন৷
অন্যদিকে সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ধ্রুবপদ ঘোষাল জানিয়েছেন, হাইকোর্টের নির্দেশ সত্বেও সদ্য প্রকাশিত পে কমিশনে বেতন বৈষম্য দূর করার কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি৷ এছাড়ায অনলাইন স্টাফ প্যাটার্নে শিক্ষকদের ক্যাটাগরি নিয়ে অসামঞ্জস্যতার বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি৷
শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে আস্থা থাকলেও তাদের দাবি-দাওয়ার বিষয়গুলিতে রাজ্য শিক্ষাদপ্তর দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে৷