মহার্ঘ ভাতা মামলায় আরও এক ধাপ এগোল রাজ্য

কলকাতা: মহার্ঘ ভাতা মামলার রায় ঘোষণা হওয়ার ৩১ দিন পর অবশেষে প্রথম পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার৷ জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার মহার্ঘ ভাতার রায়ের কপি বিকাশ ভবনে স্যাটের অফিস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে৷ এবার কি আইনি পথে যাচ্ছে রাজ্য? তুঙ্গে জল্পনা৷ গত ২৬ জুলাই মহার্ঘ ভাতার মামলার রায় ঘোষণা করা হয়৷ রায় ঘোষণার ঘোষণার ৩১ দিন পর

মহার্ঘ ভাতা মামলায় আরও এক ধাপ এগোল রাজ্য

কলকাতা: মহার্ঘ ভাতা মামলার রায় ঘোষণা হওয়ার ৩১ দিন পর অবশেষে প্রথম পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার৷ জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার মহার্ঘ ভাতার রায়ের কপি বিকাশ ভবনে স্যাটের অফিস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে৷ এবার কি আইনি পথে যাচ্ছে রাজ্য? তুঙ্গে জল্পনা৷

গত ২৬ জুলাই মহার্ঘ ভাতার মামলার রায় ঘোষণা করা হয়৷ রায় ঘোষণার ঘোষণার ৩১ দিন পর সরকারি কর্মীদের কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার রায়ের সার্টিফাইড কপি তোলা হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে৷ সরকারি সূত্রে খবর, রায়ের সার্টিফাইড কপি তোলা পর এবার আইনগত দিক খতিয়ে দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে হাঁটতে চলেছে রাজ্য সরকার৷ স্যাটের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করার সুযোগ রয়েছে রাজ্য সরকারের কাছে৷ নতুন করে পিটিশন দায়ের জন্য স্যাটেলাইট সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়৷ এর আগে হাইকোর্টের নির্দেশে মামলা স্যাটে ফেরত পাঠানো হয়৷ দীর্ঘ সওয়ালের পর রায় ঘোষণা করা হয়৷

ইতিমধ্যেই স্টেট গভমেন্ট এমপ্লয়িজের তরফে রাজ্য সরকারের কাছে রায়ের প্রতিলিপি নবান্নে জমা দিয়েছে৷ যদিও এই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি রাজ্যের তরফে জানানো হলেও তিন মাসের সময় রয়েছে রাজ্যের হাতে৷ সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, এখনই মহার্ঘ ভাতা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নিতে চাইছে না রাজ্য৷ বরং ধীরগতিতে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়ার পথে হাঁটতে পারে রাজ্য সরকার৷ স্যাট আগেই রায় ঘোষণা করে জানিয়েছিল, মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার বিষয়ে তিন মাসের মধ্যে নীতি ঘোষণা করতে হবে রাজ্যকে৷

বকেয়া ডিএ মেটাতে হবে রাজ্য সরকারদের৷ কেন্দ্রের হারে দিতে হবে মহার্ঘ ভাতা৷ ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করার আগে ছয় মাসের মধ্যে সেই বকেয়া টাকা মিটিয়ে দিতে হবে বলেও জানানো হয়৷ বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য পিএফ অথবা নগদে সেই টাকা মিটিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেয় স্যাট৷ কিন্তু ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্ট এখনও জমা পড়েনি৷ ফলে, বকেয়া মহার্ঘ ভাতা কবে মিলবে? নাকি, আইনি জটিলতা তৈরি হবে? তা নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে কর্মীমহলে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *