১৫ হাজার কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যে নয়া পদক্ষেপ রাজ্যের

কলকাতা: কমপক্ষে ১৫ হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ দিয়ে বাংলার শিপ্ল মানচিত্রে যোগ হচ্ছে নতুন শিল্পতালুক জঙ্গিপুর৷ কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে মুর্শিদাবাদে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক বা শিল্পতালুক গড়ে তুলেছে রাজ্য সরকার৷ মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী এক বছরের মধ্যেই প্রকল্পটি গড়তে তৎপর হয়েছে ছোট, ক্ষুদ্র, মাঝারি উদ্যোগ ও বস্ত্রবয়ন দপ্তর৷ প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রস্তাবিত শিল্পতালুকের জন্য ইতিমধ্যেই জঙ্গিপুর মহকুমার জাফরাবাদে জমি চিহ্নিত

9d5aad818914ee25c7386e00b20c873a

১৫ হাজার কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যে নয়া পদক্ষেপ রাজ্যের

কলকাতা: কমপক্ষে ১৫ হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ দিয়ে বাংলার শিপ্ল মানচিত্রে যোগ হচ্ছে নতুন শিল্পতালুক জঙ্গিপুর৷ কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে মুর্শিদাবাদে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক বা শিল্পতালুক গড়ে তুলেছে রাজ্য সরকার৷ মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী এক বছরের মধ্যেই প্রকল্পটি গড়তে তৎপর হয়েছে ছোট, ক্ষুদ্র, মাঝারি উদ্যোগ ও বস্ত্রবয়ন দপ্তর৷

প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রস্তাবিত শিল্পতালুকের জন্য ইতিমধ্যেই জঙ্গিপুর মহকুমার জাফরাবাদে জমি চিহ্নিত করার হয়ে গিয়েছে৷ প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকা খরচ করে প্রকল্পটি গড়বে জেলা পরিষদ৷ সেখানে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও প্লাস্টিকজাত শিল্প গড়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ ওই শিল্পতালুকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে আশাবাদী রাজ্য৷ এর পাশাপাশি, রেজিনগর শিল্পতালুকেও উদ্যোগপতিদের নিয়ে যাওয়ার জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে প্রশাসনের তরফে৷ এ ব্যাপারে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলির সঙ্গে জেলা প্রশাসন মাঝেমধ্যেই বৈঠক করছে৷ জেলাশাসক পি উলগানাথন বলেন, রাজ্য সরকারের নির্দেশে চলতি মাসেই জাফরাবাদে নতুন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক গড়ার কাজে হাত দেওয়া হবে৷ পাশাপাশি, রেজিনগর শিল্পতালুক জমজমাট করা হবে৷

মুর্শিদাবাদের বহরমপুর ও রেজিনগরে দু’টি শিল্পতালুক গড়া হলেও জঙ্গিপুর মহকুমার তেমন কোনও উপকার হয়নি৷ এখনও জেলার বড় এই মহকুমার বহু মানুষ কাজের খোঁজে ভিনরাজ্যে পাড়ি দেন৷ তাই সেখানেও একটি শিল্পতালুক গড়তে প্রশাসনকে জমি খোঁজার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সেইমতো জঙ্গিপুর মহকুমায় ৩৪নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে জেলা প্রশাসন বিশাল জমি চিহ্নিত করেছে৷ জানা গিয়েছে, সামশেরগঞ্জ ব্লকের জাফরাবাদ মৌজায় ওই জমি অবিস্থিত৷ যার জেএল নম্বর-৮৯৷ দাগ নম্বর-১৫৮৭৷ এখানে প্রায় ১০ একর জমি আছে৷ ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে জমিটি পরিদর্শন করেছে ছোট, ক্ষুদ্র, মাঝারি উদ্যোগ ও বস্ত্রবয়ন দপ্তর৷

প্রস্তাবিত ওই প্রকল্পের জন্য জমি হস্তান্তর ও নির্মাণ কাজে হাত দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে৷ প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা খরচ করে সেখানে বিদ্যুৎ, রাস্তা, নিকাশি ও পানীয় জলের পরিকাঠামো উন্নয়নের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে৷ জেলাশাসক জানিয়েছেন, চলতি মাসেই প্রকল্প রূপায়নের কাজে হাত দেওয়া হবে৷ বিড়ি শিল্পের পাশাপাশি জঙ্গিপুর মহকুমায় ডাল ও খাদ্যশস্যের চাষাবাদ ভালো হয়৷ আম ও লিচুর ফলনও হয় ভাল৷ এই বিষয়গুলিকে মাথায় রেখে প্রস্তাবিত শিল্পতালুকে কী ধরনের শিল্প গড়া সম্ভব সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসন একটি রিপোর্ট দাখিল করেছে৷

জানা গিয়েছে, ওই ১০ একর জমিতে ছোট, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ২০টি ইউনিট গড়া যাবে৷ তাতে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও প্লাস্টিকজাত শিল্প গড়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ এতে সরাসরি ২ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে৷ এর বাইরে পরোক্ষভাবে আরও ১৩ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে৷

রেজিনগর শিল্পতালুকের পতিত জমিতে উদ্যোগপতিদের নিয়ে যেতে জেলা প্রশাসন সম্প্রতি মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের সঙ্গে বৈঠক করেছে৷ মাঙ্গনপাড়া মৌজায় গড়ে ওঠা ওই শিল্পতালুকে প্রায় ১৮৭.৩০একর জমি আছে৷ ইতিমধ্যে সেখানে তিনতলা প্রশাসনিক ভবন, ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস, কনফারেন্স হল, ক্যান্টিন গড়া হয়েছে৷ রাস্তা, বিদ্যুৎ ও নিকাশিরও সুব্যবস্থা করা হয়েছে৷ সংখ্যালঘু দফতরের হাট, বিদ্যুতের সাবস্টেশন প্রভৃতি তৈরির কাজও শেষ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *