শিক্ষক নিয়োগ মামলায় বড় জয় রাজ্যের, রায় ঘোষণা সুপ্রিম কোর্টের

বাংলার মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগের দায়িত্ব কার? মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন, নাকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি? প্রায় এক বছর রায় স্থতিগ থাকার পর  অবশেষে রায় ঘোষণা করল দেশের শীর্ষ আদালত৷

 

নয়াদিল্লি: বাংলার মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগের দায়িত্ব কার? মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন, নাকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি? প্রায় এক বছর রায় স্থতিগ থাকার পর  অবশেষে রায় ঘোষণা করল দেশের শীর্ষ আদালত৷

রাজ্যের মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ হবে সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে৷ রাজ্য সরকারের পক্ষে রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট৷ ২০০৮ সালে আইন প্রণয়ন করেছিল রাজ্য সরকার৷ কলকাতা হাইকোর্টের ওই আইনের বিরুদ্ধে দায়ের হয় মামলা৷ সংবিধানের ৩০ নম্বর অনুচ্ছেদের পরিপন্থী৷ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট৷ এরপর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়৷ আজ সেই মামলার শুনানি ছিল৷ দীর্ঘ সওয়াল-জবাবের পর রাজ্য সরকারের পক্ষে রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷

আজ দীর্ঘ শুনানির পর বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের বেঞ্চ এই মামলার রায় ঘোষা করে৷ সংবিধানের ৩০ অনুচ্ছেদ মোতাবেক মাদ্রাসা সহ সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের অধিকার ম্যানেজিং কমিটির৷ তা খারিজ করে আজ রাজ্যের পক্ষের রায় দিয়েছে আদালত৷

সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ফলে এখন থেকে রাজ্য সরকারের তৈরি করা কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ হবে৷ ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে হাইকোর্টে মামলা করেছিল কাঁথি রহমানিয়া হাই মাদ্রাসা৷ সেই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট কমিশনকে অবৈধ ঘোষণা করেছিল৷ আজ সেই কমিশনকে বৈধতা দিল সুপ্রিম কোর্ট৷ ২০১৮ সালের ১৩ ডিসেম্বর রায় রিজার্ভ রাখে দেশের শীর্ষ আদালত৷ আজ সেই রায়দান হল৷ আর এই রায়ের ফলে মাদ্রাসায় বহু শূন্যপদে নিয়োগের আর কোনও জট থাকল না৷

মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির তরফে অনিমেষ হালদার রায় প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘‘সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ একটি গণতান্ত্রিক ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি৷ তাই প্রথম থেকে সার্ভিস কমিশন তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে আসছি আমরা৷ আজ সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি ও আমরা খুব খুশি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *