কলকাতা: উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তনের কথা ইতিমধ্যেই জানিয়েছে শিক্ষা দফতর। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ভাইভা থাকছে না স্কুল সার্ভিস কমিশনের এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। এমনকী, শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে যে নম্বর পেতেন পরীক্ষার্থীরা, সেই পদ্ধতিও থাকছে না আগামী পরীক্ষায়। শুধুমাত্র লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমেই হবে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া। তবে এক্ষেত্রে দু'টি ধাপে মোট ৩৫০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হবে পরীক্ষার্থীদের। তবে শিক্ষা দফতরের এহেন বিজ্ঞপ্তি নিয়ে শুরু হয়েছে নয়া জল্পনা।
শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে স্কুল সার্ভিস কমিশনের নয়া নির্দেশিকা। শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে নম্বর বা ভাইভা তুলে নিল এসএসসি। উচ্চ প্রাথমিক শ্রেণির প্রার্থীদের দিতে হবে টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট (টেট)। আর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির ক্ষেত্রে দিতে হবে প্রিলিমিনারি টেস্ট (পিটি)। ১৫০ নম্বরের প্রশ্নপত্র হবে এই পরীক্ষার জন্য। নিয়োগ পরীক্ষা হবে দু'টি ধাপে। প্রথম ধাপে উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের পাস করতেই হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা দফতর। এই পরীক্ষায় পাস করলে, তবেই দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের যোগ্য হবে।
দ্বিতীয় ধাপে থাকবে ২০০ নম্বরের প্রশ্ন। যেখানে ইংরেজিতে ৫০, ভাষায় (যে ভাষায় পড়াতে চাইবেন) ৫০ এবং যে বিষয়ে পরীক্ষার্থী পড়াতে চাইবেন, তার ওপর বরাদ্দ ১০০ নম্বর। সেই অনুযায়ী তৈরি হবে চূড়ান্ত সফলদের তালিকা। তবে শিক্ষা দফতরের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুলেছেন কেউ কেউ। মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক অনিমেষ হালদারের কথায়, শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে মূল্যায়নের বিষয়টি রাখা উচিত ছিল। তাছাড়া কেবলমাত্র লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে সঠিক মূল্যায়ন সম্ভব কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নবকুমার কর্মকার।