কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ পওয়ার পর এবার দ্বিতীয় দফায় বিজ্ঞপ্তি জারি করে শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ার দিনক্ষণ ঘোষণা করল স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ মঙ্গলবারের পর আজ বুধবার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কাউন্সেলিংয়ের দিন প্রকাশ করা হয়েছে৷ আগামী ২৭ জুন থেকে ১, ২, ৩, ৪, ৫ জুলাই পর্যন্ত চলবে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া৷ কাদের কখন ডাকা হবে, কখন কাউন্সেলিং, কত শূন্যপদ তা আজ থেকেই কমিশনের ওয়েবসাইটে বিস্তারিত জানা যাবে৷ ইন্টিমেশন লেটার ডাউনলোডও করার সুযোগ দিচ্ছে কমিশন৷
মঙ্গলবার দুপুরে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে কাউন্সেলিং শুরু করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট৷ মামলাকারীদের জন্য আসন ছেড়ে রেখে আগামী ৭ দিনের মধ্যে কাউন্সেলিং শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হলেও মঙ্গলবার প্রথম দফা ও বুধবার দ্বিতীয় দফায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দেয় কমিশন৷ সূত্রের খবর, পুজোর আগেই গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাতে পারে৷
ইন্টিমেশন লেটার ডাউনলোড করুন এই লিঙ্কে- http://www.westbengalssc.com/sscorg/wbssc/slst1CounsellingHMPH1/searchResult/ ও শূন্যপদের বিবরণ জানতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন- http://www.westbengalssc.com/sscorg/wbssc/slst1FinalVacancySchoolHMPH1/
কিন্তু, প্রধান শিক্ষক নিয়োগে হঠাৎ কেন মামলা? রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে সরকারি স্কুলে প্রধান শিক্ষক পদে ২০১৫ সাল পর্যন্ত স্নাতকোত্তরে ৪০ শতাংশ নম্বার বাধ্যতামূলক ছিল৷ কিন্তু, ২০১৬ সালে তা বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করা হয়৷ ২০১৭ সালে তা বেড়ে ৫০ শতাংশ করা হয়৷ এই ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয়৷ পরীক্ষায় বসার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়৷ মামলার জেরে মামলাকারীদের ফলপ্রকাশ করা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে৷ আর তার জেরে কাউন্সেলিংয়ে ডাক পাননি অনেকেই৷ ফের মামলা গড়ায় আদালতে৷
গত ২২ জানুয়ারি কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ার ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে আদালত৷ কলকাতা হাইকোর্টের তরফে আগেই জানানো হয়, মামলাকারীদের ‘পার্সোনালিটি টেস্ট’ নিয়ে ও মেধা তালিকা প্রকাশ করার পরেই যেন প্রার্থীদের নতুন চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়৷ তারপরই করা যাবে প্রার্থীদের কাউন্সেলিং৷ ততদিন নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে৷ মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে হাইকোর্টে তরফে কাউন্সেলিংয়ের উপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া হয়৷ স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নতুন করে কাউন্সেলিং করাতেও নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট৷ এর পরই সুখবর দেওয়ার ঘোষণা করে স্কুল সার্ভিস কমিশন৷