কলকাতা: এক, দুবার নয়, টানা পাঁচ বেড়েছে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের মেয়াদ৷ গত সপ্তাহে শেষ দফায় ৭ মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছে বেতন কমিশনের মেয়াদ৷ ফলে, পরিস্থিতি যায়, চলতি বছরে বেতন বৃদ্ধির আর কোনও সম্ভবনা নেই৷ বেতন বৃদ্ধির সুপারিশ কার্যকর না হওয়ায় ক্ষোভের আগুনে ফুঁসছেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ৷ বেতন কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধির জেরে এবার রাজ্যকে চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিলেন কর্মীদের একাংশ৷ রাজ্যকে চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার পাশাপাশি আগামী সপ্তাহের শেষে বড়সড় আন্দোলনের কর্মীসূচির ঘোষণা সরকারি কর্মী সংগঠনগুলির৷
ষষ্ঠ বেতন কমিশনের মেয়াদ বাড়ানোর প্রতিবাদে সল্টলেকের বিকাশভবনে এবার বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক সরকারি কর্মীদের একাংশের৷ রাজ্য সরকারি কর্মচারী পরিষদের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ৭ জুন বেতন কমিশনের দপ্তর ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হবে৷ এরপরই কো-অর্ডিনেশন কমিটি-সহ একাধিক সরকারি কর্মী সংগঠন কমিশনের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখাবেন বলে জানা গিয়েছে৷ কোনও দলের পোস্টার-ব্যানার ছাড়া হবে বিক্ষোভ৷
অন্যদিকে, আগামী একমাসের মধ্যে কর্মীদের প্রাপ্য বেতন বৃদ্ধির সুপারিশ কার্যকর না হলে আরও বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে বিজেপিপন্থী সরকারি কর্মী সংগঠন৷ এমনকী, বিকাশ ভবনে কমিশনের চেয়ারম্যান অভিরূপ সরকারকে চেয়ার থেকে উৎখাত করার ডাকও দেওয়া হয়েছে গেরুয়া সংগঠনের তরফে৷ শুক্রবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিয়ে বেতন কমিশন চালুর দাবিতে বিক্ষোভ দেখান সরকারি কর্মচারী পরিষদ ও ওয়েষ্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটিস কর্মচারী পরিষদের সদস্যরা৷ বিক্ষোভে অংশ নেন ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইমারি ট্রেন্ড টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরাও৷
সরকারি কর্মচারী পরিষদের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকারি কর্মীরা নিজেদের পাওনা থেকে বঞ্চিত৷ কমিশনের চেয়ারম্যান অভিরূপ সরকার নিজে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী৷ তিনি সর্বোচ্চ হারে ডিএ ভোগ করে আসছেন৷ আর রাজ্য কর্মীরা বঞ্চিত হচ্ছেন দিনের পর দিন৷