অবশেষে কাটতে চলছে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ জট!

কলকাতা: দীর্ঘ মামলার জটে থমকে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া৷ এবার মামলার জট কাটিয়ে অবশেষে প্রকাশিত হতে চলেছে উচ্চপ্রাথমিকের চূড়ান্ত তালিকা৷ পুজোর আগেই উচ্চপ্রাথমিক মামলার রায় ঘোষণার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে আদালত সূত্রে৷ আজ কলকাতা হাইকোর্টে ছিল দীর্ঘ প্রতীক্ষিত উচ্চ প্রাথমিক মামলার শুনানি৷ দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালতের তরফে আগামিকাল সাড়ে দশটা নাগাদ মামলার শুনানির দিন

অবশেষে কাটতে চলছে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ জট!

কলকাতা: দীর্ঘ মামলার জটে থমকে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া৷ এবার মামলার জট কাটিয়ে অবশেষে প্রকাশিত হতে চলেছে উচ্চপ্রাথমিকের চূড়ান্ত তালিকা৷ পুজোর আগেই উচ্চপ্রাথমিক মামলার রায় ঘোষণার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে আদালত সূত্রে৷

আজ কলকাতা হাইকোর্টে ছিল দীর্ঘ প্রতীক্ষিত উচ্চ প্রাথমিক মামলার শুনানি৷ দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালতের তরফে আগামিকাল সাড়ে দশটা নাগাদ মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে৷ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করতে পারে কলকাতা হাইকোর্ট৷ পুজোর ছুটি পড়ে যাওয়ার আগেই উচ্চপ্রাথমিকের মামলার নিষ্পত্তি ঘটতে পারে বলেও মিলেছে ইঙ্গিত৷ মামলার নিষ্পত্তি ঘটানোর সূত্র ধরেই পুজোর আগে অর্থাৎ চলতি সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত মেধাতালিকা প্রকাশ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা গিয়েছে৷ একই সঙ্গে উচ্চ প্রাথমিকের ভেরিফিকেশন হওয়া প্রার্থীদের ইন্টারভিউ শেষ হতে চলেছে চলতি সপ্তাহের মধ্যে৷ আজ আদালতের তরফে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, পুজোর মধ্যেই চূড়ান্ত রায়ের সম্ভাবনা রয়েছে৷ কেননা দীর্ঘদিন ধরেই ঝুলে রয়েছে এই মামলা৷

যদিও, এর আগেও কলকাতা হাইকোর্টের তরফে মেরিট লিস্ট প্রকাশের বিষয়ে কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়৷ সেই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা যুক্তি খাড়া করে কমিশন৷ এই নিয়ে মামলাকারীদের আইনজীবী তীব্র বিরোধিতা করেন৷ সওয়াল-জবাব শেষে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে আগামীকাল ফের মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছে৷ তবে, নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ এখনও তুলে নেয়য়নি আদালত৷

গত ২০১৫ সালে ১৬ আগস্ট উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ ২০১৬-র ১৪ সেপ্টেম্বর ফলাফল প্রকাশিত হয়৷ এর দু’বছর পর ২০১৮ সালে চাকরিপ্রার্থীদের তথ্য যাচাইয়ের জন্য তালিকা প্রকাশ করে কমিশন৷ এরপর ২০১৯-এ ফেব্রুয়ারি লাগাতার আন্দোলনের পর কার্যত বাধ্য হয়ে ভেরিফিকেশনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ ভোটের মধ্যে তৃতীয় দফার ফেরিফিকেশন করার কথা কমিশনের তরফে জানানো হলেও তা করা সম্ভব হয়নি৷ ফলে, তা বেশ খানিকটা পিছিয়ে দেওয়া হয়৷ ভোটের পর ফেরিফিকেশন পর্ব মিটিয়ে ইন্টারভিউ নেওয়ার কাজ শুরু করে কমিশন৷ এরপরই নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা৷ নিয়োগে স্থাগিতাদেশ দেয় আদালত৷ এখনও চলছে সেই মামলা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

7 + 20 =