বারাসত: সর্বভারতীয় স্তরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই রাজ্যের স্কুল শিক্ষকদের বেতন দিতে হবে৷ এই দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই সোচ্চার শিক্ষক সংগঠনগুলি৷ সোমবার এই দাবিতে বারাকপুর ডিস্ট্রিক্ট ইনস্পেক্টরের কাছে ডেপুটেশন জমা দিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাকপুর মহকুমার অন্তর্গত সরকার পোষিত বিদ্যালয়ের বৃহত্তর গ্রাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা৷
কেন্দ্র থেকে রাজ্য সব ক্ষেত্রেই এনসিটিই- র নিয়মে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়৷ কিন্তু অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সর্বভারতীয় স্তরে প্রচলিত টিজিটি ( ট্রেইন্ড গ্রাজুয়েট টিচার্স ) বেতনক্রম এবং ক্যারিয়ার এডভান্সমেন্ট স্কিম (সিএএস) সহ সমহারে বেতন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের সরকারি এবং সরকার পোষিত অথবা সাহায্য প্রাপ্ত স্কুলগুলিতে স্নাতক কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকারা৷ সেক্ষেত্রে সর্বভারতীয় স্তরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ১ লা জানুয়ারী, ২০০৬ থেকে গ্রেড পে ৪৬০০ টাকা ধরে বেতন কাঠামো তৈরি করতে হবে৷
একইসঙ্গে রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে কর্মরত শিক্ষকদের সঙ্গে সমহারে ৩ বার ক্যারিয়ার অ্যাডভান্সমেন্টের সুবিধা দিতে হবে৷পশ্চিম বঙ্গে রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের রোপা রুলস ২০০৯ এ স্নাতক শিক্ষকদের বেতনক্রম ধার্য্য করা হয় : ৭১০০ থেকে ৩৭৬০০ টাকা, গ্রেড পে- ৪১০০ টাকা এবং পে ফিক্সেশন করে প্রারম্ভিক মূল বেতন হয় ১২,৭৫০ টাকা৷ সর্বভারতীয় স্তরে সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যাওয়া উচিত ছিল ১৪৮৮০ টাকা৷ স্নাতকোত্তর শিক্ষকদের বেতনক্রম ধার্য্য করা হয় ৯০০০ থেকে ৪০৫০০ টাকা, গ্রেড পে ৪৮০০ টাকা এবং পে ফিক্সেশন করে প্রারম্ভিক মূল বেতন হয় ১৫৯৬০ টাকা৷ যা হওয়া উচিত ছিল ১৯,১৭০ টাকা৷ দুটি ক্ষেত্রেই প্রারম্ভিক মূল বেতনের পার্থক্য দাড়ায় ৩২১০ টাকা৷
ডেপুটেশনে উপস্থিত বিজিটিএর রাজ্য সভাপতি ধ্রুবপদ ঘোষাল জানিয়েছেন, হাইকোর্টের নির্দেশ সত্বেও সদ্য প্রকাশিত পে কমিশনে বেতন বৈষম্য দূর করার কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি৷ এছাড়া অনলাইন স্টাফ প্যাটার্নে শিক্ষকদের ক্যাটাগরি নিয়ে অসামঞ্জস্যতার বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন রাজ্যের গণতান্ত্রিক সরকারের শাসন হাইকোর্টের নির্দেশকেও মান্যতা দিচ্ছে না৷ এক্ষেত্রে চলতি মাসের মধ্যে দাবি না মিটলে আগামী দিনে রাজপথে নেমে বিক্ষোভ মিছিল করবে সংগঠনগুলি৷