রাজ্যের বদলির প্রক্রিয়া চূড়ান্ত বঞ্চনা, বিপাকে ২০ হাজার অনার্স গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক

রাজ্যের বদলির প্রক্রিয়া চূড়ান্ত বঞ্চনা, বিপাকে ২০ হাজার অনার্স গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক

কলকাতা: মন্ত্রিসভায় শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত নীতিগত সিদ্ধান্তের পর ইতিমধ্যেই শিক্ষকদের বদলির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।  নিজের জেলায় বদলির পাশাপাশি মঙ্গলবার শিক্ষকদের মিউচ্যুয়াল ট্রান্সফার বা পারস্পরিক বদলির বিষয়ে চূড়ান্ত নির্দেশিকাও জারি হয়েছে শিক্ষা দফতর থেকে। বুধবার থেকেই নিজের পছন্দমত স্কুলে পোস্টিং দেওয়া শুরু হয়ে গেছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। কিন্তু বদলির নির্দেশ হাতে পেয়েও এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত রইলেন রাজ্যের ২০ হাজার অনার্স গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক-শিক্ষিকা। কারণ কেন্দ্রীয় নিয়ামক সংস্থা এনসিটিই-র নির্দেশে নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকে অনার্স গ্র্যাজুয়েট বলে আর কোনও শিক্ষক পদ নেই।

পোস্ট গ্রাজুয়েট ছাড়া পাশ ও অনার্স এই দুটি বিভাগের শিক্ষকদের গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক হিসেবেই গণ্য করা হয়েছে।  বর্তমানে আপার প্রাইমারি, মাধ্যমিক (নবম-দশম) এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরের জন্য পাস গ্র্যাজুয়েট এবং পোস্ট গ্রাজুয়েট ক্যাটাগরির শিক্ষক নিয়োগের নিয়ম চালু হয়েছে। ফলে এখন আর নতুন করে অনার্স ক্যাটাগরির শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে এই শিক্ষক-শিক্ষিকারা অন্যান্য স্কুলে বদলি হতে চেয়ে স্পেশাল গ্রাউন্ডে বদলির জন্য হাতে অর্ডার কপিও পেয়ে গিয়েছেন কিন্তু শিক্ষা দপ্তর থেকে এখনও পর্যন্ত তাঁদের জন্য কোন স্কুল বরাদ্দ করা হয়নি। শিক্ষা দপ্তর জানিয়েছে যে, বর্তমানে কোনো শিক্ষক পদ অনার্স পোস্ট হিসাবে নেই। তাই তাঁদের বদলির জন্য কোনো স্কুল দেওয়া সম্ভব নয়।

এরই প্রেক্ষিতে এবার ন্যায্য দাবি আদায়ে সংশ্লিষ্ট সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করার উদ্যোগ নিয়েছেন শিক্ষকরা। দাবি জানিয়ে এমআইসি, ওএসডি টু এমআইসি, ডেপুটি ডাইরেক্টর (জিএ), অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি (সেকেন্ডারি), জয়েন্ট সেক্রেটারি(সেকেন্ডারি), প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি, কমিশনার ওফ স্কুল এবং সেক্রেটারি (ডব্লু বিসিএসএসসি) সহ মোট আটটি ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়েছে এসপিএল জিটি অনার্স ক্যাটাগরি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের পক্ষ থেকে।  ডেপুটি ডাইরেক্টর ও স্কুল সার্ভিস কমিশনের সেক্রেটারির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন এই শিক্ষকরা। প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি মনীষ জৈন নিজে শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা না করলেও এবিষয়ে ডেপুটি ডাইরেক্টর অলোক সরকারের সঙ্গে দেখা করতে বলেন।

তবে এবিষয়ে কিছুই জানাতে পারেননি অলোক বাবু। ওনার মতে পোস্টিং এর ক্ষেত্রে কি সমস্যা হচ্ছে সেবিষয়ে জেলা পরিদর্শকের মতামত জানা না গেলেও তিনি এবিষয়ে কিছুই করতে পারবেননা। তবে এর জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশন জেলা পরিদর্শককে একটি রিমাইন্ডার দিয়ে বিষয়টি বিকাশ ভবনে জানাতে পারে। সেই অনুযায়ী শিক্ষকরা এসএসসির সেক্রেটারির সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি জানান। তিনি এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগে জানাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 3 =